চীনের বিরুদ্ধে ‘নতুন মিশনে’ নেমেছে তাইওয়ান

স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের আকাশসীমায় চলতি সপ্তাহের শুরুতে ৪ দিনে অন্তত ১৫০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন। এ ঘটনায় অঞ্চলটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন সতর্ক করে বলেছেন, চীনের হাতে তাইওয়ানের পতন ঘটলে আঞ্চলিক শান্তি ও গণতন্ত্রের বিপর্যয় ঘটবে।

চীন-তাইওয়ানের পতাকা

এবার আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কথা বলে আকাশপথে চীনা অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে নেমেছে তাইওয়ান। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে সমমনা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ট হচ্ছে তাইপে। এর অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাই ইং-ওয়েন।

রয়টার্স জানায়, অস্ট্রেলীয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট এবং সাবেক ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যালেন রিচার্ডনসহ ৪ জন সিনেটর তাইওয়ান সফরে গেছেন। তারা চীনা সামরিক ও রাজনৈতিক চাপের বিষয়ে আলোচনা করেন এবং ওয়াশিংটনের মিত্রদের উদ্বেগের বিষয়টি সামনে আনেন। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সমর্থন প্রত্যাশা করেছে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান।

ফরাসি ও অস্ট্রেলীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাই ইং-ওয়েন

খবরে বলা হয়, শক্তিশালী চীনের মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সমর্থন সবচেয়ে বেশি আশা করছে তাইওয়ান। নিজ কার্যালয়ে বসে ফরাসি ও অস্ট্রেলীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি জানান অঞ্চলটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। এ সময় তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিকের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে দায়িত্ব অব্যাহতভাবে পালন করবো আমরা।

এর আগে বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তাইওয়ানের সীমানায় প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে চীন। যুদ্ধবিমানের এই বহরে ৩৪টি জে-১৬ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ১২টি এইচ-৬ বোমারু বিমানও ছিল। গতকাল ৪টি যুদ্ধবিমান প্রাতাস দ্বীপের যে এলাকায় ওড়ানো হয়, সেই এলাকা নিজের বলে দাবি করে আসছে তাইওয়ান।

তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে চীন। অঞ্চলটির পুর্নস্বাধীনতা নিয়ে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে দেশটি। তবে নিজেদের স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ মনে করে তাইওয়ান। তাই নিজেদের রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ সামরিক সহযোগিতা নিচ্ছে তারা।