দোহায় বৈঠক, সতর্কতা দিল তালেবান

আফগানিস্তানকে বিচ্ছিন্নকরণ নীতির বিরুদ্ধে তালেবান নেতারা সতর্ক করে দিয়েছেন। দোহায় বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) একটি বৈঠকে তারা জানিয়ছেন, এই নীতি অতীতে ব্যর্থ হয়েছে, কেউ তার পুনরাবৃত্তি চায় না। আফগানিস্তান ইসলামিক আমিরাত এখন একটি বাস্তবতা। আনাদোলু।

তালেবান নেতা সোহাইল শাহীন

আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সম্পৃক্ত হতে এবং পারস্পরিক স্বার্থ এবং ইতিবাচক সম্পর্কের ভিত্তিতে আলোচনা চাই। বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে তালেবান প্রস্তত। কাতারের রাজধানী দোহায় বেশ কয়েককটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে তালেবান নেতারা এসব কথা বলেন।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তালেবান প্রথমবার আফগানিস্তান শাসন করে। ২০ বছর পর মার্কিন বাহিনীকে হটিয়ে তারা আবার আফগানিস্তানকে নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। তালেবান মুখপাত্র সোহাইল শাহীন টুইটারে এক বিবৃতিতে বলেন, অতীতে আফগানিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করা একটি ব্যর্থ নীতি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এটা কেউ চায় না।

তালেবানের পতাকা

শাহিন বলেন, সেন্টার ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান স্টাডিজের আয়োজনে বৈঠকটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাহীন দাবি করেন, দূতরা আফগানিস্তানকে মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বৈঠকে তালেবান নেতারা আফগানিস্তানে অসম্পূর্ণ পুনর্গঠন প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করার জন্য রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান। কারণ আসন্ন শীত মওসুমের জন্য দেশটিতে মানবিক সাহায্যের খুব প্রয়োজন।

চলতি বছরের আগস্ট মাসে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করে। কিন্তু মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য দেশটিকে বিদেশিদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। জাতিসংঘ দেশটিতে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেছে।