আপনি পড়ছেন

আফগানিস্তানে আইএস-সহ চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান। কাতারের দোহায় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তালেবান তাদের এই আপসহীন অবস্থান তুলে ধরে। আল আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

us taliban first talk dohaকাতারের দোহায় প্রথমবারের মতো তালেবান সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক, ছবি- আল জাজিরা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগামীকাল রোববারও তালেবানের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। শনিবারের বৈঠকে উভয়পক্ষের কর্মকর্তারা চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিক ও আফগানদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে।

তালেবানের রাজনৈতিক মুখপাত্র সুহাইল শাহীন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান আইএসকে নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নেওয়া হবে না। শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের একটি শিয়া মসজিদে আইএসের হামলার পরদিনই যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান বৈঠকে বসল। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। সোহাইল শাহীন বলছেন, আমরা স্বাধীনভাবে দায়েশ মোকাবেলা করতে সক্ষম। তালেবান আইএস দমনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করবে না।

আইএসআইএস বা আইএস ২০১৪ সালে পূর্ব আফগানিস্তানে উত্থানের পর থেকে দেশের শিয়া মুসলমানদের ওপর অবিরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আইএসকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবেও দেখা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তালেবানের সঙ্গে এই আলোচনার অর্থ এমন নয় যে, তালেবান সরকারকে আমেরিকা স্বীকৃতি দেবে।

এদিকে, ইসলামাবাদে পাকিস্তানি কর্মকর্তা ও মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যানের মধ্যে দুই দিনের বৈঠক হয়েছে। ওই আলোচনারও কেন্দ্রবিন্দু ছিল আফগানিস্তান। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার ও অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক তহবিলে বিলিয়ন ডলার অনুদানের আহ্বান জানান।

পাকিস্তানও তালেবানদের জন্য একটি বার্তা দিয়েছে। আর তা হলো— তালেবান সরকার যেন আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় এবং তারা যেন মানবাধিকার ও দেশটির সংখ্যালঘুদের অধিকারের প্রতি মনোযোগ দেয়। শুক্রবারের হামলার পর থেকে আফগানিস্তানের শিয়া আলেমরা তালেবান শাসকদের ওপর চাপ দিচ্ছেন। তাদের দাবি, তাদের মসজিদ অধিকতর সুরক্ষিত করা হোক। আইএসের সহযোগী সংগঠন দায় স্বীকার করেছে এবং হামলাকারীকে উইঘুর মুসলিম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থাৎ এ হামলার মূল টার্গেট যেমন শিয়া তেমনি তালেবানও।

যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক উইলসন সেন্টারের এশিয়া প্রোগ্রামের উপ-পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, শুক্রবারের হামলার পর আরও সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে। উইঘুর মুসলিমদের অধিকাংশই পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, যারা কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।

খবর বলা হচ্ছে, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয়ই চায় চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ প্রকল্প থেকে প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক সুবিধা নিতে। এ প্রকল্প বেইজিংকে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার সাথে সংযুক্ত করবে। তালেবানরা পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টকে নিয়ন্ত্রণ করলে চীন উইঘুর জনগণের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে ইচ্ছুক। এছাড়া তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ গত মাসে চীনা প্রকল্পকে এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উদ্যোগ বলে অভিহিত করেন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.