শেষ আনুষ্ঠানিক সফরে ইসরায়েলে মার্কেল

জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল তার দায়িত্বকালে শেষবারের মতো ইসরায়েলে সফর করছেন। ১৬ বছরের শাসনামলে ইসরায়েলকে নিরঙ্কুশ সমর্থন করে গেছেন তিনি। গত মাসে জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে মার্কেলের দল হেরে গেছে। দেশটির নতুন চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন বিজয়ী ওলাফ স্কলাজ।

অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও নাফতালি বেনেট

দীর্ঘ আলোচনার পর নতুন জোট সরকার জার্মানির দায়িত্ব গ্রহণ করবে। মার্কেল তার সফরে আজ রোববার ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে দেখা করবেন এবং দেশটির জাতীয় হলোকাস্ট স্মৃতিসৌধ ‘ইয়াদ ভাসেম’ পরিদর্শন করবেন। আশা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি প্রসঙ্গ তুলবেন। বিবিসি।

ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তিতে জার্মানি ছিল শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইসরায়েলের সমর্থন নিয়ে চুক্তি থেকে সরে আসে। এর পরই চুক্তিটি ভেঙে যায়। ১৯৪৮ সালে হলোকাস্টের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জার্মানি-ইসরায়েল ১৯৬৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

অ্যাঞ্জেলা মার্কেল

ইউরোপে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার জার্মানি এবং ফিলিস্তিনে হামলা এবং কূটনৈতিক সংকটের সময় জার্মান সরকার ইসরায়েলকে কঠিনভাবে সমর্থন দিয়েছে। মার্কেল এবং ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মাঝে গভীর সম্পর্ক ছিল। তবে ফিলিস্তিন ইস্যুতে মতভেদের কারণে শেষদিকে তাদের মধ্যে শীতল সম্পর্ক ছিল।

জার্মানি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সমর্থন করে, যা নেতানিয়াহু এবং বেনেট সমর্থন করেন না। কিন্তু এই মতপার্থক্য বৃহত্তর অংশীদারিত্বে কমই প্রভাব পড়েছে। সফরে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের কোনো পরিকল্পনা মার্কেলের নেই। ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গেও তার বৈঠকের কোনো কর্মসূচি নেই।