শিশুদের টিকা দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মতি

দেশে ১৮ বছরের কম বয়সীদের করোনাভাইরাসের টিকা দিতে চায় সরকার- অনেকদিন ধরেই এমনটা বলে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে। কিন্তু এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি না পাওয়ায় শিশুদেরকে টিকাদানের উদ্যোগ নেওয়া যায়নি। অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত অনুমতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ব্রিফ করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

আজ রোববার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এতদিন ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকাদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতির অপেক্ষায় ছিল। এবার সেটা পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের শিগগিরই টিকার আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে।

শিশুদেরকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে ৬০ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা মজুদ আছে। কয়েকদিনের মধ্যে আরও ৪০ লাখ ডোজ পাওয়া যাবে। তাই শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করতে আমাদের কোনো বাধা নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লোগো

দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির সার্বিক অগ্রগতির বর্ণনা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জোর গতিতে টিকাদান চলছে। ইতোমধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আনা হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ ৫০ শতাংশ এবং আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন জোগাড় করতে প্রধানমন্ত্রী সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন। এখন পর্যন্ত এই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এরপরও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যত টাকাই লাগুক, দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। ভ্যাকসিনের অভাবে যেন একজন মানুষেরও মৃত্যু না ঘটে, সেজন্য জোর চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি।