ওয়াশিংটনের আঞ্চলিক পরাজয় দেখছেন ইরানি কমান্ডার

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার হোসেন সালামি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে গেছে এবং বর্তমানে ইরাকেও তার ‘শেষ মাস’ গণনা করছে। ওয়াশিংটনের আঞ্চলিক পরাজয় তুলে ধরে তিনি বলেন, লেবানন এবং সিরিয়ায়ও মার্কিন চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব শহর কেরমানের একটি কবরস্থানে ওই বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। আল মনিটর।

আইআরজিসির কমান্ডার হোসেন সালামি

কমান্ডার হোসেন সালামি পশ্চিমাবিরোধী গরম বক্তব্যের জন্য পরিচিত। ওই কবরস্থানে তার সাবেক সহকর্মী, নিহত কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে সমাহিত করা হয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে মার্কিন বিমান হামলায় সোলাইমানি নিহত হন।

ওই হামলা তেহরান এবং ওয়াশিংটনকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। ইরান জেনারেলের হত্যার প্রতিশোধ নেয় প্রতিবেশী ইরাকের একটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণকারী এক ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে। আমেরিকান কর্মকর্তারা অবশ্য ইরানের ওই রিপোর্ট অস্বীকার করে আসছে।

জেনারেল কাশেম সোলায়মানিকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানি কমান্ডার উল্লেখ করেন, ইরানের এক নম্বর শত্রু ইসরায়েল তেহরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে। ইসরায়েলের বক্তব্য, ইরান বোমা তৈরির জন্য সময় নিচ্ছে। তেহরানকে ছাড় না দিতে বিশ্বশক্তিকে রাজি করার চেষ্টা করছে ইসরায়েল।

তিনি তথ্য দেন, ইসরাইলের চ্যানেল ২ রিপোর্ট করেছে, জেরুজালেমের সরকার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি স্থগিত করতে ১.৫ বিলিয়ন ডলার বাজেট অনুমোদন করতে চলেছে। এই তহবিলটি বিমান, গোয়েন্দা-সংগৃহীত ড্রোন এবং অনন্য অস্ত্রশস্ত্রজনিত কাজে ব্যবহার করা হবে।

ইরানি কমান্ডারের দাবি, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ইসরাইলের গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ ক্রমাগত ইরানি বিজ্ঞানীদের একটি হিট লিস্ট আপডেট করে আসছে।

সবশেষ এ ধরনের টার্গেটে ছিল মোহসেন ফখরিজাদেহ, যিনি ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের কাছে ইরানের শীর্ষ পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত ডিসেম্বরে তেহরানের বাইরে একটি অত্যাধুনিক অভিযানে তিনি নিহত হন। নাশকতার সব চক্রান্ত ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন হোসেন সালামি।