জাপানে থাকা তৃতীয় সন্তানকে হাজির করতে বাবার রিট

একটি দাম্পত্য সম্পর্কের জটিলতা কাটাতে জাপান এবং বাংলাদেশের আদালতে লড়াই চললো। বাংলাদেশি ইমরান শরীফ এবং জাপানি নাকানো এরিকোর ডিভোর্সের পর সন্তান কার কাছে থাকবে, তা নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। তাদের তিন সন্তানের দুজন বর্তমানে বাংলাদেশে, একজন জাপানে। সেই তৃতীয় সন্তানকে বাংলাদেশে হাজির করতে আদালতে রিট করেছেন ইমরান শরীফ।

তিন সন্তানের সঙ্গে ইমরান শরীফ ও নাকানো এরিকো

আইনি লড়াইয়ের এক পর্যায়ে জাপানের আদালত তিন সন্তানকে মায়ের কাছে রাখার নির্দেশ দেন। সেই রায়ের পর দুই সন্তানকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন ইমরান শরীফ। এরপর আইনি লড়াই শুরু হয় বাংলাদেশের আদালতে। কিছুদিন আগে সব মান-অভিমান ভুলে স্বামী-সন্তানদের নিয়ে আবার সংসার করতে চান নাকানো এরিকো।

তিনি জানিয়েছেন, এ নিয়ে আর আইনি লড়াই চান না। বাংলাদেশে থাকা দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার কল্যাণের জন্য স্বামীকে নিয়ে নিজ দেশে চলে যেতে চান এই জাপানি চিকিৎসক। নতুন করে সংসার পাততে চান ইমরান শরীফের সঙ্গে। তবে সেটা না করে ইমরান শরীফ এবার তৃতীয় সন্তানকে পেতে আদালতে রিট করে বসেছেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে থাকা দুই সন্তানের সঙ্গে নাকানো এরিকো

২০০৮ সালে জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বিয়ে হয় বাংলাদেশি শরীফ ইমরানের। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। তাদের ৩ সন্তান কার কাছে থাকবে এ নিয়ে জাপানে আইনি লড়াই চলাকালে দুই সন্তান জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনাকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন ইমরান। কিছুদিন পর তাদের মা নাকানো এরিকোও ঢাকায় পৌঁছান।

বাংলাদেশে এসে দুই সন্তানকে নিজের জিম্মায় নেওয়ার অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এরিকো। গত ১৯ আগস্ট তিনি এ ব্যাপারে একটি রিট করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে গত ৩১ আগস্ট আদালত আদেশ দিয়েছে, ১৫ দিন বাবা-মাসহ দুই শিশু গুলশানের একটি বাসায় থাকবে। এর মধ্যে বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করবেন দুই পক্ষের আইনজীবীরা।

আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৩০ আগস্ট রাত পর্যন্ত আইনজীবীরা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন নাকানো এরিকো ও শরীফ ইমরানের সঙ্গে। কিন্তু কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হন তারা। শেষ পর্যন্ত মান-অভিমান ভুলে সংসার শুরু করার প্রস্তাব আসে নাকানো এরিকোর পক্ষ থেকে। তবে স্বামী চান, আগে তার তৃতীয় সন্তানকে ঢাকায় আনা হোক।