তাইওয়ানকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের

তাইওয়ানকে চীনের হাত থেকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সিএনএন টাউন হলে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে। চীনের বুঝা উচিত আমরা পিছিয়ে যায়নি। তাইওয়ানকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি আমাদের রয়েছে। নিক্কেই এশিয়া।

জো বাইডেন

খবরে বলা হচ্ছে, চীনের সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে বেইজিং থেকে সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ রয়েছে তাইওয়ানের ওপর। অন্যদিকে, ওয়াশিংটন তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে সমর্থন করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরেই এটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘কৌশলগত নীতি’। গত আগস্টে বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, তাইওয়ান সম্পর্কে মার্কিন নীতি পরিবর্তিত হয়নি। চীন যদি দ্বীপটিকে আক্রমণ করে তাহলে আমরা তাদের রক্ষা করব।

বাইডেন বলছেন, ওয়াশিংটনের সামরিক শক্তি নিয়ে ভুল ধারণা থাকা উচিত নয়। চীন, রাশিয়া এবং বাকি বিশ্ব জানে, বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী আমাদের। আমি চীনের সাথে শীতল যুদ্ধ চাই না। আমি চাই, চীন যেন বুঝতে পারে, আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি না। আমাদের নীতি পরিবর্তন করতে যাচ্ছি না।

চীন ও তাইওয়ানের পতাকা

তাইওয়ান এবং চীনের মধ্যকার বর্তমান সামরিক উত্তেজনা ৪০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং চলতি মাসে বলেন, চীন ২০২৫ সালের মধ্যে তাইওয়ানে আক্রমণ করতে সক্ষম হবে। কিন্তু মনে রাখা দরকার, তাইওয়ান একটি স্বাধীন দেশ। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দেশটি সক্ষম।

চীনে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচেষ্টায় সাড়া দিচ্ছে। আমরা সমস্যা সৃষ্টিকারী নই। বরং যুক্তরাষ্ট্র কিছু বিপজ্জনক পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাদের উচিত, এ ধরনের অনুশীলন বন্ধ করা।