লোকাল বাসে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

হাত দেখিয়ে বাসটা থামিয়ে লাফ দিয়ে একেবারে বাসেই উঠে গেলেন মন্ত্রী সাহেব। তারপর সরাসরি যাত্রীদেরকেই জিজ্ঞাসা করলেন, এটা কি সিটিং না চিটিং? প্রশ্ন করার পাশাপাশি যাত্রীদের অভিযোগও শুনলেন।

এমনটা অবশ্য নতুন নয়। এহেন কাজ অহরহই করে থাকেন সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার দুপুরেও করলেন। একটি-দু’টি নয়, বেশ কয়েকটি বাস এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ শুনলেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিলেন।

রোববার সংসদ ভবনের সামনের সড়কে এই অভিযান চালান সেতু মন্ত্রী। এ সময় তিনি বিআরটিসি’র একটি দোতলা বাসও দাঁড় করান। তারপর বাসে উঠে যাত্রী ও চালকের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া বাসে নারীদের জন্য নির্ধারিত ১৩টি আসনের মধ্যে ২টিতে পুরুষ দেখে তাদেরকে তুলে দেন। এরপর বাসে দাঁড়িয়ে থাকা দুই মহিলাকে ডেকে এনে ওই সিটে বসতে দেন।

এ সময় মানিক মিয়া এভিনিউ সড়কে তিনটি অটোরিকশাকেও থামান ওবায়দুল কাদের। অটোরিকশা মিটারে চলছে কিনা তা যাত্রীদের কাছে জানতে চান। যাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করলে মন্ত্রীও খুশী হন।

এ সময় তিনি বলেন, আমি জানি, অটোরিকশা ১০০ ভাগ মিটারে চলছে না। তবে ৯০ ভাগ অটোরিকশা মিটারে চলছে এটা শিউর। চেষ্টা করলে সফল হওয়া যাবে না- এটা আমি বিশ্বাস করি না।

এ সময় তিনি মোটরসাইকেল আরোহী থামিয়ে হেলমেট পরার জন্যও তাগিদ দেন। তিনি বলেন, চার বছর আগে মাত্র পাঁচ ভাগ মোটরসাইকেল আরোহীর মাথায় হেলমেট ছিলো। এখন সেটা বেড়ে ৯৫ ভাগ হয়েছে। যারা হেলমেট ছাড়া চলছে তাদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক লোক।

এ সময় মন্ত্রী বিআরটিসি’র অনিয়ম ও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার কথাও বলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

রাজশাহীতেও বন্যার পানি, কুষ্টিয়ায় বেড়েছে নদী ভাঙ্গন

অন্তিম নিস্তব্ধতায় শহীদ কাদরী

হান্নান শাহ: রামপাল বন্ধ করতে মাঠে নামবে বিএনপি

দ্রুত জিয়ার স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহারের আহ্বান হানিফের

ত্রাণমন্ত্রী: ফারাক্কা এখন ভারতেরই মরণফাঁদ