দোহায় বৈঠক, আফগানিস্তান পুনর্গঠনে চীনের অঙ্গীকার

আফগানিস্তান পুনর্গঠনে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। অর্থনীতির অবনতি হওয়ায় আফগানিস্তানের নতুন নেতাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশটি। সিনহুয়ার বরাত দিয়ে খবরটি দিয়েছে দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।

তালেবান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সোমবার (২৫ অক্টোবর) কাতারের দোহায় একটি তালেবান প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে এই মন্তব্য করেছেন। সেপ্টেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বেইজিং এবং তালেবানের মধ্যে এই প্রথম উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। ওয়াং ইউরোপ সফরের আগে কাতারে দুই দিনের সফরে আছেন। তিনি ইতালি, আলবেনিয়া, সার্বিয়া ও গ্রিস সফর করবেন।

ওয়াং বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তালেবানদের সাথে যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত উপায়ে কাজ করা। চীন আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং দেশের পুনর্গঠনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তালেবানের উচিত উদার ও সহনশীল মনোভাব প্রদর্শন করা। সমস্ত জাতিগোষ্ঠীকে একত্রিত করে নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষা করা।

মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদার এবং ওয়াং ই

চীনা শীর্ষ কুটনীতিক বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন তালেবান সরকার ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট এবং চীনের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন দমন করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। চীন মূলত তালেবানের শাসনে ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বারবার নতুন শাসনের সাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

খবরে বলা হচ্ছে, একটি স্থিতিশীল আফগানিস্তান দেশের খনিজ সম্পদের বিকাশের সুযোগ খুলে দিতে পারে এবং বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড অবকাঠামো উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে পারে। চীনবিরোধী কট্টরপন্থী ইসলামিক সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরার ব্যাপারে চীন তালেবানের ওপর ভরসা করছে। কারণ সন্ত্রাসীরা দেশে-বিদেশে চীনা স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলছে।

বৈঠকে তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার বলেছেন, তাদের লক্ষ্য বেইজিংয়ের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা। তালেবান কাউকে বা কোনো শক্তিকে চীনের ক্ষতি করার জন্য আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করার অনুমতি দেবে না।

ব্রিটেনের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ফেলো মি. ওাফায়েলো প্যান্টুচি বলেছেন, মানবিক সহায়তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে চীনের ব্যর্থতা ইঙ্গিত করে, তারা এখনও আফগানিস্তানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়।