হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা প্রকাশ, শঙ্কিত ইসরায়েল

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর হাতে এক লাখেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। ইসরায়েলের যে কোনো জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম এসব ক্ষেপণাস্ত্র। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস নিয়ে উৎকণ্ঠিত ইসরায়েল এবার হিজবুল্লাহর হাতে থাকা এসব ক্ষেপণাস্ত্র থাকার সংবাদে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র

হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত ‘ইসরায়েল হাইয়ুম’ নামের পত্রিকাটি বলেছে, প্রবল প্রতিপক্ষ এ দুই গোষ্ঠীর বর্তমানে পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে হলে ইসরায়েলকে বহু পথ পাড়ি দিতে হবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী অনেকটাই ইসরায়েলের স্বার্থের বিপরীতে যাচ্ছে। বিশেষ করে সিরিয়া, ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনে প্রতিরোধ অক্ষের বিজয়, আঞ্চলিক রাজনীতিতে হিজবুল্লাহর প্রভাব ও ভূমিকার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল বহুমুখী সামরিক সংঘাতের প্রস্তুতি জোরদার করেছে। এরপরও ইসরায়েল সরকার নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে মারাত্মক শঙ্কার মুখে।

কিছুদিন আগে হামাসের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রেই বেশ নাস্তানাবুদ হয়েছিল ইসরায়েল। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের আয়রন ডোম থাকার পরও হামাসের লো-ক্যাটাগরির রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র তাদের অধিকৃত বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। হিজবুল্লাহর হাতে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো হামাসের ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় অনেকটা উন্নত মানের হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই তেল আবিবের উৎকণ্ঠা অনেক বেড়েছে।

২০০৬ সালের ৩৩ দিনের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে পত্রিকাটি বলেছে, অধিকৃত ভূখণ্ড এখন এক লাখের বেশি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার মধ্যে রয়েছে। এর সঙ্গে গাজা থেকে (হামাসের) যুক্ত হবে আরো হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।