সাইপ্রাসের গ্রিন লাইনে ইসরাইলের নজরদারি

গ্রিক সাইপ্রাসের গ্রিন লাইনে একটি নতুন নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করেছে সাইপ্রাস। গত শুক্রবার চুক্তির বিষয়টি ঘোষণা করা হয়। গ্রিন লাইনটি সাইপ্রাস প্রজাতন্ত্রকে উত্তর সাইপ্রাস থেকে বিভক্ত করেছে। উত্তর সাইপ্রাসকে তুর্কি প্রজাতন্ত্রও বলা হয়। খবরটি দিয়েছে গ্রিক রিপোর্টার।

সাইপ্রাসের গ্রিন লাইনে ইসরাইলের নজরদারি

খবরে বলা হচ্ছে, সাইপ্রাস এই প্রকল্পে ২৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে, যা আগামী তিন বছরের মধ্যে নির্মিত হবে।

চোরাচালান ও অবৈধ অভিবাসনসহ সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সাইপ্রাসের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্টোস পিয়েরিস বলছেন, এটি একটি ইলেকট্রনিক নজরদারি ব্যবস্থা, যা ২৪ ঘণ্টা ছবি সরবরাহ করবে। এটি গ্রিন লাইনের বিভিন্ন পয়েন্টে কার্যকর থাকবে।

সাইপ্রাসের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী নিকোস নুরিস ইইউ অ্যাসাইলাম সাপোর্ট অফিস সম্মেলনে বলেন, অভিবাসীদের নিয়ে সাইপ্রাসের পরিস্থিতি দেশের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হয়েছে উঠেছে। আমরা তুর্কি অধিকৃত সাইপ্রাসের সাথে তাদের সীমান্তের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য।

উত্তর সাইপ্রাসের এক বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, তিনটি মহাদেশের সংযোগস্থলে সাইপ্রাস দ্বীপটি অনিয়মিত অভিবাসনের জন্য সুরক্ষিত নয়। দুই সাইপ্রাসই বিভিন্ন দেশ থেকে অনিয়মিত অভিবাসন গ্রহণ করে। উত্তর সাইপ্রাস আন্তর্জাতিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত। শুধু তুরস্কের সমর্থন নিয়ে অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে অঞ্চলটি লড়াই করছে।

গ্রিক সাইপ্রাসের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় তুরস্ক ১৯৭৪ সালে উত্তর সাইপ্রাস দখল করে। এখন এ অঞ্চলটি একটি সায়ত্বশাসিত অঞ্চল, যা শুধু তুরস্ক সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে।