পটুয়াখালী হবে নেদারল্যান্ডসের মতো

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের হুমকি মোকাবেলায় একশ বছরের পরিকল্পনায় নেওয়া হয়েছে উপকূলীয় এলাকায়। এর অংশ হিসেবে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ জেলা পটুয়াখালীকে গড়ে তোলা হচ্ছে নেদারল্যান্ডসের শহরের আদলে। এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

পটুয়াখালী শহর, ফাইল ছবি

জানা যায়, ১৮৯২ সালে পৌরসভার মর্যাদা পাওয়া পটুয়াখালীর বর্তমান আয়তন প্রায় ২৬ বর্গ কিলোমিটার। প্রাচীন এই জেলা শহরকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলছে পটুয়াখালীতে।

পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা এবং জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষম করে তুলতে শহরটিতে এসব উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- সাগর-নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় জোয়ারে তলানো সড়কগুলো আরসিসি হিসেবে নির্মাণ করা, খালগুলো পুনরুদ্ধার, ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করা এবং বর্জ্য রিসাইকেল করা।

পটুয়াখালী শহর, ফাইল ছবি

এছাড়া সুপেয় পানির সংকট দূর করতে ভূপৃষ্টের উপরিভাগের পানিকে উপযোগী করে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এজন্য শহরের দুই প্রান্তে দুটি সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করা হবে। নেদারল্যান্ডসের আদলে এই পৌরশহর গড়ে তুলতে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম দিয়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু বলেন, বুয়েটের একটি টেকনিক্যাল টিম কয়েক দফায় সার্ভে সম্পন্ন করে মাস্টার প্ল্যানটি তৈরি করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশ-প্রতিবেশগত ঝুঁকির দিক বিবেচনা করে একশ বছরে এই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। এটি বাস্তবায়িত হলে পটুয়াখালীকে নেদারল্যান্ডের শহরের মতো দেখা যাবে।

পটুয়াখালী শহরকে একটি আধুনিক বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেন, কেবল কংক্রিটের উন্নয়ন নয়, শহরজুড়ে সবুজের সমারোহ থাকবে। খালগুলো পরিচ্ছন্ন আর সড়ক হবে ময়লাহীন। সবমিলিয়ে দৃষ্টিনন্দন শহর দেখে মুগ্ধ হবে সবাই।