তাইওয়ানের স্থল-নৌ ও বিমানবন্দরে চীনের হস্তক্ষেপের আশঙ্কা

চীনের সশস্ত্র বাহিনী তাইওয়ানের মূল বন্দরসমূহ ও বিমানবন্দর অবরোধ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তাইওয়ান। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বিশাল প্রতিবেশী দ্বারা সামরিক হুমকির মধ্যে আছি। বেইজিং তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আকাশ, সমুদ্র এবং স্থল হামলার সক্ষমতা জোরদার করছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

মানচিত্রে চীন-তাইওয়ানের অবস্থান

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, বিমানবন্দর এবং বহির্গামী ফ্লাইট রুটের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা, আকাশ ও সমুদ্রে যোগাযোগের লাইনগুলো বিচ্ছিন্ন করতে পারে চীন। এছাড়া ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ভেরিয়েন্টসহ সমগ্র তাইওয়ানকে চীন আক্রান্ত করতে সক্ষম। যে কোনো সময় হামলা চালানোর ক্ষমতাও বাড়িয়েছে দেশটি।

খবরে বলা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে তার নিয়ন্ত্রণে আনতে চীন কখনোই শক্তির ব্যবহার পরিত্যাগ করেনি। তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে বারবার যুদ্ধবিমান উড্ডয়নসহ দ্বীপের চারপাশে সামরিক তৎপরতা বাড়াচ্ছে তারা। চীনের এই হুমকি প্রতিহত করার জন্য তাইওয়ান প্রস্তুত বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

চীন ও তাইওয়ানের পতাকা

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাইওয়ানে বিদেশি হস্তক্ষপের যে জিগির তুলেছে চীন তা আমরা অস্বীকার করছি। আমরা তাইওয়ানকে দখল করার অপচেষ্টাকে মোকাবেলা করব। চীন লক্ষ্যবস্তুতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা নির্ভুল হামলা চালাতে সক্ষম। উপকূলীয় মাইনফিল্ড স্থাপনের পাশাপাশি রিজার্ভ প্রশিক্ষণও তারা বাড়িয়েছে।

খবরে বলা হচ্ছে, চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখন্ড হিসেবে দেখে। তবে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বলেছেন, তাইওয়ান একটি স্বাধীন দেশ। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার অধিকার আমাদের রয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে তাইওয়ানের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনে ১৪৮টি চীনা বিমানের জোরপূর্বক উপস্থিতি তাইওয়ানে আতঙ্ক ছড়ায়।