পাকিস্তান হাইকোর্ট: বিচারকরা সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন

পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বলেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতির সমালোচনা আদালত অবমাননার আওতায় পড়ে না। তাছাড়া আদালত অবমাননার আইন বিচারকদের সুরক্ষার জন্য নয়, মামলার পক্ষের সুরক্ষার জন্য। গতকাল শুক্রবার পাকিস্তান মুসলিম লীগ নেতা মরিয়ম নওয়াজ এবং শহীদ খাকান আব্বাসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে এই মন্তব্য করেন আদালত।

মরিয়ম নওয়াজ ও শহীদ খাকান আব্বাসি

ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ তার রায়ে বলেন, বিচারকের কাজ হল ন্যায়বিচার প্রদান করা। বিচারকরা জনসাধারণের সমালোচনা থেকে মুক্ত নন। একজন স্বাধীন বিচারক কখনই সমালোচনা দ্বারা প্রভাবিত হয় না। আর একজন বিচারক অবসর নেওয়ার পর সাধারণ ব্যক্তিতে পরিণত হয়ে যান। অবসরের পর তিনি আদালতের অংশ থাকেন না।

রায়ে আরো বলা হয়, ব্যক্তিগত সম্মান রক্ষায় আইনে অন্যান্য বিধান রয়েছে। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তার ব্যক্তিগত কারণে সমালোচিত হয়েছেন। এই সমালোচনাকে অবমাননার দায়ে বিচার করা যায় না। তাই আবেদনটি অগ্রহণযোগ্য এবং খারিজ ঘোষণা করা হয়।

বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ

এর আগে বিচার কার্যক্রম চলাকালে বিচারপতি মিনাল্লাহ বলেছিলেন, একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এমনকি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি হলেও তিনি সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী বলেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে যা বলা হয়েছিল তা আদালত অবমাননার সামিল।

এর আগে, পিএমএল-এন সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ দাবি করেছিলেন, তাকে এবং তার বাবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য সাবেক প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসারকে কারা ‘চাপ’ দিয়েছিল তা জাতিকে বলা উচিত। এখনো সময় আছে। আজ হোক বা কাল, জাতিকে সত্য বলতেই হবে।

মরিয়ম আরো বলেন, সময় এসেছে, সাকিব নিসার এবং সাবেক আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আড়ালো লুকানো থেকে থামানোর।