স্রোতে ভাসিয়ে আনা হচ্ছে ভারতীয় গরু

বৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু আসা বন্ধ থাকলেও এক অভিনব উপায়ে ভারত থেকে হাজার হাজার গরু নিয়ে আসছেন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীর দল। কমপক্ষে ছোট-বড় ১৬টি নদ-নদী ভারত থেকে কুড়িগ্রাম জেলায় প্রবেশ করেছে। এসব নদ-নদীর স্রোতে ভাসিয়েই প্রতিদিন আনা হচ্ছে এসব গরু। একটি অনলাইন পত্রিকার রিপোর্টে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এসব গরুর বাজার বেশ জমে উঠেছে। কুড়িগ্রাম জেলার সাথে ভারতের জলসীমান্তে কোনো কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার ভারতীয় গরু স্রোতে ভেসে চলে আসছে বাংলাদেশে। আর এর পেছনে কাজ করছে একশ্রেণির অসাধু গরু ব্যবসায়ী।

সীমান্তের নির্ধারিত প্রবেশ পথ ব্যবহার না করে এভাবে গরু পাচার করায় কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয়রা লিখিতভাবে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানা গেছে।

অবৈধ জেনেও শত শত সীমান্তবাসী স্রোতে ভাসিয়ে অন্যায়ভাবে এসব গরু আনতে প্রতিদিন নদী সাঁতরে চলেছেন। জড়িয়ে পড়েছেন অবৈধভাবে টাকা রোজগারের এই কাজে। সাঁতরে সীমান্ত পার হওয়ার পর এসব গরু সড়ক ও নদীপথে ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে ভারতীয় গরু দেশে আনার স্থানীয় প্রবেশ পথ হচ্ছে ধরলা ব্রিজ। এই পথে গরু আনলে সরকারকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব দিতে হয়। নির্দিষ্ট ওই পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিতেই নদীর স্রোতে গরু ভাসিয়ে নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

নদীপথে গরু আনতে হলে একজন রাখাল বা এই কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিকে সন্ধ্যা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত সময় নিয়ে ধরলা নদী পাড়ি দিতে হয়। নদী সাঁতরে গরু পারাপার করতে গরুপ্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে নেন তারা।

কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এভাবে গরু এনে তাদের বিশেষ কোনো লাভ হচ্ছে না। গরু পরিবহণ করার জন্য আরও অনেক চাঁদা দিতে হয় তাদের। এর মধ্যে গাড়িতে ৮০ টাকা এবং স্থানীয় দালালদের ৭০ টাকা করে দিতে হয়। তবে টাকা পরিশোধ করার পর আর কোনো সমস্যা হয় না বলে স্বীকার করেন ওই ব্যবসায়ী।

এ বিষয়ে স্থানীয় দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সামিউল হক নান্টু ওই অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে জানান, গরু আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো চুক্তি না থাকায় এভাবে গরু আনা হচ্ছে। আর এসব গরুর মূল্য হুন্ডির মাধ্যমে পরিশোধ হয়। স্থানীয় প্রশাসন এগুলো দেখেও না দেখার ভান করছে।

এ ব্যাপারে রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহরীয়ার আহমেদ চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সবার সাথে আলোচনা হচ্ছে। কোনো সমস্যা থাকলে তা বিবেচনা করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

দীপন হত্যায় পুরস্কার ঘোষিত আরেক ‘জঙ্গি’ গ্রেফতার

১০ টাকা কেজি চাল পাচ্ছে ‘অতিদরিদ্র’ ৫০ লাখ পরিবার

ওবায়দুল: বাড়ি ফেরা সহজ হবে

আওয়ামী লীগ: পাকিস্তানের অবস্থান ন্যাক্কারজনক

শিক্ষামন্ত্রী: জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ তলা হল