‘নিখোঁজ ব্যক্তিদের পুনরুদ্ধারের দায় প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের’

রাষ্ট্রে নিখোঁজ ব্যক্তিদের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীসভার সদস্যদের ওপরই বর্তায়। তাকে খুঁজে বের করতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকা উচিত। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে হবে যে, রাষ্ট্রের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এ কাজের সাথে জড়িত নয়। ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট ২০১৮ সাংবাদিক মুদাসার মেহমুদের নিখোঁজ হওয়ার প্রেক্ষিতে দায়ের করা এক মামলার শুনানিতে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ বুধবার এ মন্তব্য করেন।

আইএইচসির প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ

শুনানি চলাকালে আদালতে মানবাধিকার মন্ত্রী শিরীন মাজারি ও স্বরাষ্ট্র সচিব ইউসুফ নাসিম খোখার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারপতি মিনাল্লাহ বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি আদালতে এসে জানায়, প্রিয়জন নিখোঁজ হয়েছে। এর অর্থ তাকে রক্ষায় রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে।

একজন নাগরিককে অপহরণের অভিযোগকে রাষ্ট্রের জন্য ‘গুরুতর অপরাধ’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মাচারী নিখোঁজ হয়, তবে তাকে খুঁজে বের করতে পুরো প্রশাসনকে ব্যবহার করা হয়। একজন সাধারণ নাগরিক নিখোঁজ হলে সরকারের প্রতিক্রিয়াও একই হওয়া উচিত।

নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সাথে কথা বলছেন ইমরান খান, ফাইল ছবি

বিচারপতি মিনাল্লাহ বলেন, আদালতকে জানানো হয়েছে যে নিখোঁজ সাংবাদিকের স্ত্রীও মারা গেছেন। সমস্ত এজেন্সি ফেডারেল সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি সারসংক্ষেপ বা প্রতিবেদনের মূল বিষয় হওয়া উচিত নয়। বরং নিখোঁজ ব্যক্তির সন্তান এবং পিতামাতাকে সন্তুষ্ট করতে হবে। শিশুদের যত্ন নেয়া এবং তাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কথা শোনার পুরো দায়িত্ব রাষ্ট্রেরই।

আইএইচসি প্রধান বিচারপতি মাজারি লিখিত রায়ে বলেন, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব শুধু নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা নয়, বরং নিখোঁজ ব্যক্তির প্রিয়জনকে সন্তুষ্ট করার দায়িত্ব পালন করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্রকে এ-ও নিশ্চিত করতে হবে, রাষ্ট্রীয় কাজে কর্মরত কোনো ব্যক্তি তাদের এ ট্রমা এবং যন্ত্রণার সাথে জড়িত বা আত্মতুষ্ট নয়।

বিচারপতি মিনাল্লাহ পরবর্তী শুনানির আগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে নিখোঁজ ব্যক্তির বাবা-মা এবং সন্তানদের মধ্যে বৈঠক নিশ্চিত করতে মানবাধিকার মন্ত্রীকে নির্দেশ দেন।