যে কারণে চীনের ব্যাপারে চুপ ছিলেন মার্কেল

জার্মানিতে নতুন সরকার ক্ষমতায় বসেছে। এতে করে চীনে দেশটির পলিসি কি হবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা ভাবতে বসেছেন। তারা বলছেন, চীনে নতুন জার্মান চ্যান্সেলর স্কোলজের নীতি অ্যাঞ্জেলা মারকেলের চেয়ে খুব বেশি আলাদা হবে না। এর প্রধান কারণ চীনে রয়েছে জার্মানির বিশাল বিনিয়োগ। হংকংয়ের ইকোনোমিক জার্নাল ইজিনসাইটে একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

অ্যাঞ্জেলা মারকেল

হংকংয়ের একজন জার্মান ব্যবসায়িক পরামর্শদাতা বলছেন, জার্মানির বিশাল বিনিয়োগ চীনের বিষয়ে মারকেলের নীতিকে দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত করেছে। এই বাণিজ্য নীতির কারণেই চীনের বিরুদ্ধে মারকেল চুপ ছিলেন। চীনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার এবং অন্যান্য বিতর্কিত বিষয়ে তিনি কথা বলতে পারেননি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্কোলজ বাস্তববাদী এবং সুপরিচিত। তাকে অবশ্যই বড় অটো কোম্পানি, সিমেন্স, বেয়ার, বিএএসএফ এবং অন্যান্য বড় সংস্থাগুলোর অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু তার জোটের মধ্যে বিভিন্ন মতামতের লোক রয়েছে। বিশেষ করে গ্রিনস পার্টির নেতারা ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন।

স্কোলজ

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত জুনে বেইজিং বিদেশি নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলার আইন দিয়ে জার্মানির শক্তিশালী শিল্প সংস্থা বিডিআইকে ক্ষুব্ধ করেছিল। বিডিআই বোর্ডের সদস্য উলফগ্যাং নিডারমার্ক বলছেন, উত্তেজনা কমানোর ওপর নির্ভর করার পরিবর্তে চীনা সরকার নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। এটি বিনিয়োগের অবস্থান এবং ব্যবসায়িক অংশীদার হিসাবে চীনের সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

নিডারমার্ক বলছেন, চীনের ওই আইনটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুরূপ আইন থেকে খুবই আলাদা। এ আইনের বলে চীন হুমকিমূলক অঙ্গভঙ্গি দেখাচ্ছে। কিন্তু এটি ঠিক নয়। এর পরিবর্তে চীনা সরকারকে তার ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথে সংলাপে আরও গঠনমূলক উপাদান প্রবর্তন করতে হবে।

জার্মানির নতুন সরকারকে চীনের প্রতি ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক বৈরিতা মেনে নিয়েই বড় কোম্পানিগুলোর স্বার্থের ভারসাম্য রক্ষার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।