দেশে খালেদা, বিদেশে রওশনের অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অন্যদিকে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। তাদের শারীরিক অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া ও রওশন এরশাদ, ফাইল ছবি

লিভার সিরোসিসে রক্তক্ষরণসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে রয়েছেন খালেদা জিয়া। আগে চার দফা রক্তক্ষরণ হলেও গত ৩০ নভেম্বর থেকে তার শারীরিক অবস্থা ‘অপরিবর্তিত’ বলে জানিয়েছে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে রক্তক্ষরণ সাময়িক বন্ধ রেখে লিভারের সমস্যার চিকিৎসা চলছে বলেও জানায় সূত্রটি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার করোনাজয়ী বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠজনরা বলেছিলেন, করোনাজয়ী নেত্রীর শারীরিক অবস্থার আশান্বিত উন্নতি অথবা আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটেনি। এভাবে এক অবস্থায় স্থির থাকার বিষয়টিকে ভালো বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

খালেদা জিয়া ও রওশন এরশাদ, ফাইল ছবি

গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানায়, হাইলি টেকনিক্যাল ‘টিপস’ চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন। এটা করা না গেলে যে কোনো সময় যে কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। ফলে প্রতিদিন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বসে পরামর্শ করে চিকিৎসা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, তার শারীরিক অবস্থায় কোনো পরিবর্তন আসেনি, আগের মতোই আছে। বাসা থেকে পাঠানো তরল জাতীয় খাবার দেয়া হচ্ছে তাকে। গত ১২ নভেম্বর থেকে এখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

এদিকে, ফুসফুসের জটিলতাসহ নানা রোগ নিয়ে রওশন এরশাদ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন। গত ২৫ নভেম্বর থেকে প্রায় একই অবস্থায় রয়েছেন তিনি। অক্সিজেনের সমস্যা কিছুটা কমেছে জানিয়ে রওশন এরশাদের ছেলে সাদ এরশাদ জানান, আইসিইউতে আগের মতোই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তার মা।

গত ১৪ আগস্ট ফুসফুসে জটিলতার কারণে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, সিএমএইচে ভর্তি করা হয় রওশন এরশাদকে। অবস্থার অবনতি হলে ৫ নভেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ডে নেয়া হয় তাকে। সেই থেকে সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব সাদ এরশাদ।