প্রধানমন্ত্রী: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে তা আরো দৃঢ় করতে পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি এবং সামনে পথচলা নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আজ সোমবার মৈত্রী দিবস এবং ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির এক অনুষ্ঠানে দুই মিনিটের ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফাইল ছবি

পারস্পরিক সম্পর্কের গুরুত্বে বিশ্বাস করে চলার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উভয় দেশের দীর্ঘস্থায়ী গতিশীল অংশীদারিত্বকে আরো শক্তিশালী করার একটি উপলক্ষ এই সুবর্ণজয়ন্তী। এ ক্ষেত্রে কাজ করতে নিজেদের পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করারও উপলক্ষ এটি।

দুই দেশের জনগণের মধ্যে সংযুক্তি, বাণিজ্য ও যোগাযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে নয়াদিল্লির অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করা দরকার। এটি পর্যায়ক্রমে উভয়পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যাত্রায় একটি মাইলফলক।

বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা

উভয় দেশ ও জনগণ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারণাকে বাস্তবতায় পরিণত করে চলবে- এমন আত্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিশাল অংশীদারিত্ব পরিপক্ক, গতিশীল, ব্যাপক ও কৌশলগত আকার নিয়েছে। সার্বভৌমত্ব, সমতা, বিশ্বাস ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর তৈরি হয়েছে এটি। ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্রসহ অগণিত অভিন্নতার যৌথ মূল্যবোধে পরিগণিত এই সম্পর্ক।

সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক মতবিনিময় ও আদান-প্রদান নিয়মিত হওয়ায় বন্ধুত্ব আরো শক্তিশালী, বৈচিত্র্যময় ও প্রসারিত হয়েছে। করোনাকালীন বিধিনিষেধ সত্ত্বেও সকল ক্ষেত্রে সম্পর্ক স্থিতিশীল ও শক্তিশালী রয়েছে, মহামারি মোকাবেলায় চমৎকার সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততায় বিষয়টি স্পষ্ট, বলেন তিনি।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি বঙ্গবন্ধু স্থাপন করেন উল্লেখ করে তার কন্যা বলেন, ১৯৭২ সালে এক ভাষণে এটিকে ‘বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছিলেন জাতির পিতা। সম্পর্কটি বন্ধুত্বপূর্ণ, যা আমাদের হৃদয়ে রয়েছে। এই বন্ধুত্বের বন্ধন আরো দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হয়। এর ৫০ বছর পূর্তিতে নয়াদিল্লিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স, আইসিডব্লিউএ। এতে বক্তব্য রাখেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, দিল্লিতে ঢাকার হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান ও আইসিডব্লিউএ মহাপরিচালক বিজয় ঠাকুর সিং প্রমুখ।