যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না পাকিস্তান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আয়োজনে আজ থেকে শুরু হচ্ছে দুদিনব্যাপী ভার্চুয়াল গণতন্ত্র সম্মেলন। এতে ১১০টিরও বেশি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র পাকিস্তানও। তবে শেষ মুহূর্তে এসে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তারা এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে না।

ইমরান খান ও জো বাইডেন

অভ্যন্তরীণ আলোচনার পর এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর এমন সিদ্ধান্ত জানায়। বিষয়টি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে ঠিক কী কারণে ইসলামাবাদ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শীর্ষ সম্মেলনে চীনকে বাদ দেয়া একটি বড় কারণ হতে পারে। বর্তমানে পাকিস্তান-চীনের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়টি সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাওয়ার পরও তা প্রত্যাখ্যানে ইসলামাবাদকে শক্তি যুগিয়েছে। এছাড়া বেশ কিছুদিন ধরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে উপেক্ষা করার যে ধারাবাহিকতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে চলে আসছিল, তার জবাবেও ইসলামাবাদ এ পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য মার্কিন আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান বলেছে, তারা ভবিষ্যতে একটি উপযুক্ত সময়ে এ বিষয়ে জড়িত হতে পারে। তবে এর আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ বৃহস্পতিবার ও কাল শুক্রবার দুদিনব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। শতাধিক দেশের নেতাদের এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মাত্র চারটি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। পাকিস্তান ছাড়া অন্য তিনটি দেশ ছিল ভারত, মালদ্বীপ ও নেপাল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বাইডেন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে তার প্রথম ভাষণে গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজনের অঙ্গীকার করেছিলেন। বিশ্বব্যাপী রাশিয়া ও চীনসহ গোটা বিশ্বে কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিস্তার ঘটার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তালিকায় দেখা যায়, সম্মেলনে চীন দাওয়াত না পেলেও সম্মেলনে তাইওয়ানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তালিকায় রাখা হয়নি তুরস্ক ও রাশিয়াকে। এদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুধু ইসরাইল ও ইরাক আমন্ত্রণ পেয়েছে সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য। মিসর, সৌদি আরব, জর্ডান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো মিত্রদের দাওয়াত দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সাথে মোটামুটি ভালো সম্পর্ক থাকলেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।