ইরানের বিরুদ্ধে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে পরামাণু চুক্তিতে ফিরতে কূটনৈতিক আলোচনা বা পদক্ষেপ ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে বিকল্প ব্যবস্থা নেবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ হুমকি দেন। দ্য ইপোক টাইমস।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি

সাকি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে চলমান অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দলকে সতর্ক করেছেন। আলোচনা বা কূটনীতি ব্যর্থ হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই অন্যান্য বিকল্প পন্থা অবলম্বন করতে হবে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি যদি ত্বরান্বিত হতে থাকে, তবে ইরানের রাজস্ব উৎপাদনকারী খাতগুলোকে আরও সংকীর্ণ করে দেওয়া ছাড়া বিকল্প পথ থাকবে না।

বাইডেন প্রশাসন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ইরানের ওপর আরোপিত সকল নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন। ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে সরিয়ে নেওয়ার পর ওইসব নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেন।

ইরানরে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

২০১৫ সালে করা চুক্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, রাশিয়া এবং চীন অন্তর্ভুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এক বছর পর ইরান চুক্তিতে বর্ণিত পরমাণু বিধিনিষেধ লঙ্ঘন শুরু করে। এর ফলে দেশটি এখন পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের ক্ষমতা লাভ করার কাছাকাছি বলে ধারনা করা হচ্ছে।

এমতাবস্থায় গত সপ্তাহে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত পরোক্ষ মার্কিন-ইরান পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থতার ইঙ্গিত মেলে। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির অধীনে ইরানের নতুন সরকার আগের ছয় দফা আলোচনার অনেক কিছু ত্যাগ করে। এ কারণে জুনে রাইসির নির্বাচনের পর পাঁচ মাস আলোচনা বন্ধ ছিল।

বৃহস্পতিবার ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে সপ্তম দফা আলোচনা শুরু হয়। এদিন বিশ্বশক্তির সঙ্গে উদ্বোধনী বৈঠকের পর প্রধান আলোচক আলী বাগেরি কানি সাংবাদিকদের বলেন, ইরান জোর দিয়ে বলেছে তারা তার আগের অবস্থানের ভিত্তিতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইরান একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে সিরিয়াস যদি অপরপক্ষ আলোচনা চালিয়ে যেতে চায়।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বৃহস্পতিবার বলেছেন, চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থা খুব শিগগিরই হবে না। হাতে খুব বেশি সময়ও বাকি নেই। মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করেন, কূটনীতিক উপায়েই আলোচনা চালিয়ে যাওয়া সর্বোত্তম পন্থা।