গয়েশ্বর: সরকার পতনের পরই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার পথে শেখ হাসিনাই একমাত্র বাধা এবং সে কারণেই সরকার পতনের পরই খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় আজ শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, তিনি এসব কথা বলেন। এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে তো আর আমরা জোর করে বিদেশে পাঠাতে পারবো না, তবে শেখ হাসিনাকে জোর করে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবো। তাই এখন থেকে সে পথেই এগোবে বিএনপি।

চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ফাইল ছবি

সরকারি দলের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিচারের জন্য খালেদা জিয়াকে তো আদালতে পাঠিয়েছেন, কিন্তু আপনাদের বেলায় আদালত পর্যন্ত পাঠানো হবে কি না— নাকি জনগণই বিচার করবে সেটা বলা যায় না।

বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নয়, বরং এক ব্যক্তির শাসন চলছে মন্তব্য করে গয়েশ্বর আরো বলেন, এখন শেখ হাসিনার কথায় বিচার বিভাগও চলে। বাংলাদেশে যে গুম-খুন হচ্ছে, তার সবকিছু জানে শেখ হাসিনা। আবার যারা মুদ্রা পাচার করে তারাও তার চেনা-জানা এবং তার আশপাশের লোক।

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের দেশত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, মুরাদকে নিরাপদে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে শেখ হাসিনার ইশারাতেই।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা সাইদ আহমেদ আসলাম। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম। ২০ দলীয় জোটের নেতারা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।