বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর: ৪৬ বছর পর মামলা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাঙচুরের ঘটনার ৪৬ বছর পর মামলা হয়েছে। পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, এ মামলা দায়েক করা হয়। আগামী ১৯ ডিসেম্বর আদেশের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেন।

আ স ম ফিরোজ, ফাইল ছবি

যার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে তিনি হলেন— জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য। মামলার বাদী হলেন বাউফল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল হক।

বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম। এ বিষয়ে বাদী জাহিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আ স ম ফিরোজ বাউফলের দলীয় কার্যালয়ে সম্প্রতি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ১৯৭৫ সালের ওই ঘটনা (বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর) উল্লেখ করেন। তিনি এও বলেন, ওই ঘটনায় তার কিছুই হয়নি। তার ওই ঘটনার বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ ১০ জনকে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খান আলতাফ হোসেন ভুলু এবং বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজী।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত হওয়ার পর তৎকালীন ছাত্রলীগ বরিশালের পেশকার বাড়ির সামনে দিয়ে একটি মিছিল বের করে। ওই মিছিলে আ স ম ফিরোজের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। একই সঙ্গে অশ্বিনী কুমার টাউন হলের উত্তর পাশে থাকা আওয়ামী লীগ অফিসেও ভাংচুর চালানো হয়। ওই সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এ ছাড়া একই দিন বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবিও ভাঙচুর করা হয়।