চীনের ‘বিশেষ মহড়া’য় দুশ্চিন্তায় ভারত

তিব্বতে গত নভেম্বরে আণবিক, জৈবিক ও রাসায়নিক যুদ্ধের এক বিশেষ মহড়া চালিয়েছে চীন। তিব্বত মিলিটারি রিজিয়ন-এ এই সামরিক মহড়া হয়েছে ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ তথা চীনা সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের তত্ত্বাবধানে। একদিনের এই মহড়ায় চীন ঠিক কী বার্তা দিতে চেয়েছে, তা উদ্ধার করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।

তিব্বতে চীনের মহড়া

মূলত চীনের সেনাবাহিনী পিএলএ-এর নিউজ পোর্টালে প্রথম এই খবর দেয়া হয়। এর পরপরই ভারত অংশে এ নিয়ে হইচই পড়ে যায়। কারণ লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্ত ভারত ও চীনের। তাই ঠিক কোন অংশে তারা এ মহড়া চালিয়েছে তা খুঁজে পাওয়া কঠিনই।

পিএলএ-এর ওই নিউজ পোর্টালের খবরে বলা হয়েছে, তিব্বতে আণবিক, জৈবিক ও রাসায়নিক যুদ্ধের মহড়া চালায় চীন। একটি তুষার আবৃত মালভূমিতে নভেম্বরের শেষ দিকে ২৪ ঘণ্টাব্যপী এই অনুশীলন হয়েছে।

 ভারত-চীনের একটি সীমান্ত এলাকা

চীনা সেনাবাহিনীর ‘ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডে’র তত্ত্বাবধানে এই মহড়া চালানো হয়। মহড়ায় অংশ নেয় কয়েক হাজার সেনা। কাল্পনিক শত্রুর বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালায় চীনা সেনা সদস্যরা। শত্রুশিবির গুড়িয়ে দেওয়ার মহড়া চালায় সাঁজোয়া গাড়ি। তারপর গ্যাস মাস্ক ও বিশেষ পোশাক পরে আণবিক ও রাসায়নিক হামলা ব্যর্থ করার মহড়া চালায় সৈন্যরা।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই জৈব যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত ভারতের প্রথম সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত। নতুন এক ধরনের যুদ্ধের ওপর আলোকপাত করার কথা বলে তিনি জানিয়েছিলেন, যদি জৈব যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে সেনা সদস্যদের উচিত দেশকে বিভিন্ন জীবাণু ও মহামারীর হাত থেকে রক্ষা করা। এ পরিস্থিতিতে চীনের এ ধরনের মহড়ায় রাওয়াতের সে আশঙ্কার কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। ভারতের সামরিক বিশেষজ্ঞরা সেটা নিয়েই গবেষণা করছেন।