সতর্কবার্তা, বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন

ইউরোপে বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন এবং সম্ভবত আগামী বছরের শুরুতে ফ্রান্সে এটি প্রভাবশালী হয়ে উঠবে। এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্টেক্স। যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে প্রবেশকারীদের ওপর কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কয়েক ঘণ্টা আগে গতকাল শুক্রবার তিনি এই সতর্কবার্তা দেন। বিবিসি।

জিন কাস্টেক্স

গতকাল শুক্রবার প্রায় ১৫ হাজার জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। যুক্তরাজ্য এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের শিকার। মহাদেশজুড়ে সংক্রমণের তরঙ্গ ঠেকাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপের সব দেশ। শুক্রবার জার্মানি, আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডে অতিরিক্ত বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়।

জার্মানিতে গতকাল ৫০ হাজার নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাখ সাংবাদিকদের বলেছেন, দেশকে অবশ্যই চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। এদিকে আয়ারল্যান্ডে করোনায় আক্রান্তদের এক তৃতীয়াংশ ওমিক্রনে আক্রান্ত। তাওইসাচ মাইকেল মার্টিন বলেছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যেতে পারে, যার নজির আগে দেখা যায়নি।

ওমিক্রন

খবরে বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে টানা তৃতীয় দিনের মতো রেকর্ড ৯৩ হাজার কোভিড সংক্রমণ ঘটেছে। এই রোগীদের বিরাট সংখ্যা ওমিক্রনে আক্রান্ত। এ অবস্থায় যুক্তরাজ্য থেকে পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য ফ্রান্স তার সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে লোকেরা প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ডোভার পোর্ট এবং ইউরোস্টার টার্মিনালে বিশাল লাইন তৈরি হয়েছে।

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী কাস্টেক্স বলছেন, সরকার নতুন বছর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রয়োগে নতুন পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। কয়েক মিলিয়ন নাগরিকের টিকা দিতে অস্বীকার করা পুরো দেশের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

নেদারল্যান্ডসে ডাচ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিকে একটি কঠোর লকডাউনে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট বলেছেন, ওমিক্রন ফ্রান্সের মতো জানুয়ারির মধ্যে দেশের প্রভাবশালী স্ট্রেন হতে পারে।

নভেম্বরের শেষদিক থেকে বার, রেস্তোরাঁ এবং বেশিরভাগ দোকানপাট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিধিনিষেধ বড়দিনের আগে শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত গড়াবে।