ওমিক্রনের হানা, বিশ্ববাজারে তেলের দামে ধস!

করোনার নতুন ও ভয়ংকর ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিদ্যুৎ গতিতে ছড়িয়ে পড়ার খবরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারের তেলের দামে। আজ সোমবার একদিনেই অপরিশোধিত তেলের দরপতন হয়েছে ৪ শতাংশের বেশি।

বিশ্ববাজারে তেলের দামে ধস, ফাইল ছবি

অয়েল প্রাইস ডটকমের তথ্য বলছে, আজ মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট, ডব্লিউটিআই প্রতি ব্যারেল তেল বিক্রি করেছে ৬৭ দশমিক ৪৫ ডলার। ফলে তাদের তেলের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ অথবা ৩ দশমিক ৪১ মার্কিন ডলার।

এদিন প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল বিক্রি হয় ৭০ দশমিক ৫৮ ডলার। এই তেলের দাম কমেছে ৪ শতাংশ বা ২ দশমিক ৯৪ ডলার। এর পাশাপাশি হিটিং অয়েলের দাম ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমেছে, যা বিক্রি হয় ২ দশমিক ১৩৫ ডলারে। তবে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বা ০.১৩৯ ডলার। এটি প্রতি ইউনিট বিক্রি হয় ৩ দশমিক ৮২৯ ডলারে।

তেলের বাজার, ফাইল ছবি

বিশ্ববাজারে তেল-গ্যাসের দামে অস্থিরতা তৈরির পেছনে বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়াকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ওমিক্রন ঠেকাতে ইউরোপ-আমেরিকায় আবারো বিধিনিষেধ ফিরে আসায় তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার শঙ্কা দেয়া দিয়েছে। গতকাল রোববার, ১৯ ডিসেম্বর নেদারল্যান্ডসে লকডাউন ঘোষণার পরই তেলের দাম নিম্নমুখী হতে শুরু করে।

গত ৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় B.1.1.529 নামে ওমিক্রন শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। টিকা অকার্যকর করতে সক্ষম এই ভ্যরিয়েন্ট অবিশ্বাস্য গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডব্লিউএইচও। ফলে শিগগিরই আরো অনেক দেশে ওমিক্রনের বিস্তার নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এই ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধসহ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং বিধিনিষেধ জারির হিড়িক পড়ে গেছে দেশে দেশে।