সোলেইমানি হত্যায় হাত ছিল ইসরায়েলের!

২০২০ সালে ইরানের কুদস ফোর্স কমান্ডার শহীদ কাসেম সোলেইমানি হত্যায় সরকারের ভূমিকা নিশ্চিত করেছেন ইসরায়েলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) তামির হায়মান এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। এবিএনএ নিউজ।

কাসেম সোলেইমানি

ইরানের আইজিআরসির কুদস ফোর্সের কমান্ডার ইন চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার অপারেশনে ইসরায়েলি সরকার ভূমিকা পালন করেছিল। এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে তাদের ভূমিকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইহুদিবাদী ওই জেনারেল শহীদ সোলেইমানিকে একজন কৌশলবিদ এবং যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, জেনারেল সোলাইমানিকে শনাক্ত করা কঠিন ছিল। মার্কিন নেতত্বে সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর ইরান মার্কিন দখলদার বাহিনীর অন্তর্গত আইন আল-আসাদ সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

কাশেম সোলেইমানির জানাজায় মানুষের ঢল

আঞ্চলিক দেশগুলোকে তাদের নিজ দেশ থেকে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কারের আহ্বান জানায়। এই হত্যাকাণ্ডের দেড় বছরের মাথায় মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যায়। ইরান মার্কিন ঘাঁটি আইন আল-আসাদে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

ইরান অঙ্গীকার করেছিল, তারা যথাসময়ে জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নেবে। জেনারেল সোলেইমানি এবং ইরাকি প্রতিরোধ নেতাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন হত্যাকাণ্ড বিশ্বে ব্যাপক নিন্দার জন্ম দেয়।

৩ জানুয়ারি ২০২০ কাসেম সোলেইমানি নিহত হন। তিনি ছিলেন একজন ইরানি সামরিক অফিসার যিনি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইজিআরসি) এ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০২০ সালে হত্যার আগ পর্যন্ত তিনি কুদস ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন।

কিছু বিশ্লেষক তাকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির ডান হাত হিসেবে বিবেচনা করেন। সেইসাথে তার পেছনে ইরানের দ্বিতীয় সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি। একজন বেসামরিক ব্যক্তি হিসেবে ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের সময় আইআরজিসিতে যোগ দেন তিনি।

এর আগে ১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বরে ইরান-ইরাক যুদ্ধ শুরু হলে তাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। পরে ১৯৯০ এর দশকের শেষদিকে আইআরজিসি কুদস ফোর্সের কমান্ডার হন।