চীন-পাকিস্তান সীমান্তে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বসাচ্ছে ভারত

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাবে রাশিয়ার এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করা শুরু করেছে ভারত। পাকিস্তান ও চীনের সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলায় নয়াদিল্লি এসব সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করছে। স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএনআই।

পাঞ্জাব সীমান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে এস-৪০০

নয়াদিল্লির একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম স্কোয়াড্রন পাঞ্জাব সেক্টরে মোতায়েন করা হয়েছে। চীন ও পাকিস্তান থেকে সম্ভাব্য বিপদ একযোগে মোকাবেলা করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু করবে রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি।

সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এস-৪০০ একই সময়ে ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। একই সময়ে ৭২টি রকেট ছুড়তে সক্ষম এটি। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে দূরপাল্লা, মাঝারি পাল্লার এমনকি স্বল্প পাল্লার রকেটও ছোড়া যায়।

প্রতিবেশী পাকিস্তানের সাথে ভারতের সম্পর্ক বন্ধুসুলভ নয়

চলতি মাসের শুরু থেকেই ভারতে আসতে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির বিভিন্ন অংশ। রাশিয়া থেকে সমুদ্রপথে ও বিমানে করে এগুলো আনা হচ্ছে। প্রথম চালানটি এই বছরের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর ভারতের স্থাপিত ইউনিটটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চালু করা হবে।

এএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাব রাজ্যে মোতায়েন শেষ করার পরে বিমান বাহিনী পূর্ব দিকে মনোযোগ দেবে এবং দেশে কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এরই মধ্যে ভারতের বিমানবাহিনীর বেশ কয়েকজন অফিসার এবং কর্মী রাশিয়ায় এই সিস্টেমে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ভারত ও রাশিয়া ৫৫০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা ভারতকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনা থেকে বিভিন্ন দেশকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছে। এক পর্যায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছে। এ শাস্তি তারা তুরস্ক, ইরান, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহারও করেছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন গত মার্চ মাসে ভারত সফরের সময় সতর্ক করে বলেন, মার্কিন মিত্র ও অংশীদারদের রাশিয়ান সামরিক সরঞ্জাম পরিত্যাগ করা উচিত এবং নিষেধাজ্ঞার কারণ হতে পারে এমন যে কোনো লেনদেন এড়িয়ে চলা উচিত।