নিজ দেশেই বিএসএফের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ক্ষমতা বাড়াতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। কয়েকটি রাজ্য বিষয়টিকে সমর্থন দিচ্ছে না। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ তার একটি। সেখানে বিএসএফের সমালোচনায় মেতেছেন রাজ্য বিধায়করা। গতকাল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিধায়ক বলেছেন, বিএসএফ শৃঙ্খলাহীন। তারা ঘুষ খায়।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিএসএফ

বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন। এ অবস্থার মধ্যে গতকাল বুধবার বিএসএফের ঘুষ নেওয়ার কথা বলে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন সৌগত রায়। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, বিএসএফ শৃঙ্খলাহীন, ওরা ঘুষ নেয়। সীমান্তে চোরাচালানে মদদ দেয়। ওদের মদদেই বাংলাদেশে গরু পাচার হয়। কিন্তু তারাই আবার মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, মানুষকে মারধর করে।

বিএসএফ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছিলেন, নিয়মবিরুদ্ধভাবে রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে অত্যাচার চালাচ্ছে বিএসএফ। তারা মাঝে মাঝেই গ্রামে ঢুকে পড়ে। অত্যাচার করারও অভিযোগ পাই। পুলিশকে জানিয়ে কাজ করে না ওরা।

বিএসএফের হাতে আটক নারী পুরুষ

কয়েকদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক উদয়ন গুহ মন্তব্য করেছিলেন, বিএসএফ পরীক্ষার নাম করে নারীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এছাড়া অভিযোগ করেছিলেন, ওরা ২০২৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, দিনহাটা বিধানসভার দুরাচাপড়ি এবং খারিজা রাখলমারি গ্রামের মানুষজন আমাকে জানিয়েছেন, বিএসএফ সেখানে ঢুকে জনসংখ্যা কত, নারী কত, পুরুষ কত, কতজন হিন্দু-মুসলমান এসব খোঁজ নিচ্ছে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই তারা এসব তথ্য যোগাড় করছে।