আস্থা সংকটে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী!

ইসরায়েল ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউটের (আইডিআই) সভাপতি ইয়োচান প্লেসনার প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের কাছে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার বিষয়ে তার বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করবেন।

ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য

প্রতিবেদনটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনসাধারণের আস্থার অভাবের একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা প্রকাশ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে একটি পরিসংখ্যান সম্ভবত সবচেয়ে উদ্বেগজনক হতে পারে, সেটা হচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রতি জনগণের আস্থার সংকট। ইসরায়েলি ন্যাশনাল নিউজ।

গত বছরের রিপোর্টে ইতোমধ্যেই ইরসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থার তীব্র পতন লক্ষ্য করা গেছে। যাতে ৯০ শতাংশ থেকে ৮১ শতাংশ মানুষ প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতি আস্থাহীনতা প্রকাশ করেছেন। এটা অনেককে হতবাক করেছে।

আইজ্যাক হারজোগ

অতীতে কখনও এমন অবস্থা হয়নি, এমনকি কঠিন সময়েও। যদিও প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছিল। 

খবরে বলা হচ্ছে, জানুয়ারির শুরুতে যে পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হবে তাতে আস্থার প্রকৃত সংকট প্রকাশ পেতে পারে। তবে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতি এই আস্থার সংকট অস্থায়ী বলে ভাবা হচ্ছে।

২০২০ সালে আইডিএফের প্রতি জনসাধারণের আস্থা কমে যাওয়ার পরিসংখ্যানগুলো ক্রমবর্ধমান প্রবণতার অংশ বলে মনে হচ্ছে। যদিও অপারেশন গার্ডিয়ান অফ দ্য ওয়ালসের সময় আস্থা কিছুটা পুনরুদ্ধার করেছিল। সেই প্রভাব অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী ছিল না।

চলতি বছরের ১০ মে ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমের দিকে রকেট ছোড়ে হামাস। হামাসের বিরুদ্ধে ওই যুদ্ধকে অপারেশন গার্ডিয়ান অফ দ্য ওয়ালসের সূচনা করে।

পরবর্তী ১২ দিনের মধ্যে হামাস এবং ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) ইসরায়েলে প্রায় ৪ হাজার ৪০০টি রকেট নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে ৬৮০টি রকেট ইসরায়েলে আঘাত হানে ও বহু হতাহত হয়। অন্যগুলো আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ঠেকিয়ে দেয় ইসরায়েল।