আপনি পড়ছেন

একজন সামর্থবান মুসলমানের ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব। কিন্তু ‘সামর্থবান মুসলমান’ বলতে আমরা কাকে বুঝবো? এই নিয়ে নানা রকম মত দেখা যায়। আর এতো রকম মতের ফলে মানুষ সঠিক তথ্যটুকু না জেনে শুধু ভুলের মধ্যেই ঘুরপাক খায়।

eid ul azha

সামর্থবান মুসলমানের সংজ্ঞা কী? এই সামর্থ্যের পরিমাপ কী? জেনে নিন, সামর্থবান মুসলমান বলতে কাকে বুঝায়।

সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন মুসলিম নর-নারীর ওপরে কুরবানি ওয়াজিব হয়। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে যে, ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ‘নেসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক যিনি হবেন তাঁর উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হবে।

এবার জানতে হবে, নেসাব কাকে বলে এবং নেসাব পরিমাণ সম্পদ কতোটুকু? নেসাব হচ্ছে, স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ আর রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা বা এই পরিমাণ সম্পদ। এক্ষেত্রে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি, জমি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র হিসাব করা হবে।

কারও কাছে এককভাবে সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপা না থেকে যদি অল্প অল্প করে সব মিলিয়েও সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রূপার মূল্য হয় তাহলেও তাঁর ওপর কুরবানি ওয়াজিব হয়ে যাবে।

কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ কারও কাছে পুরো বছর থাকা আবশ্যক নয়। বরং কুরবানীর তিন দিন অর্থাৎ ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত এর মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানী ওয়াজিব হবে।

তাই এবার হিসাব করে নিন, আপনার কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে কিনা। শর্তমতো যদি এই তিনদিনের মধ্যে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই কুরবানি করতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

অ্যালার্জি দূর করতে খাবার

গ্রিন টি খাবেন, তবে বেশি নয়

চিনির বিকল্প কী?

ওষুধ খাইয়ে মোটাতাজা করা গরু যেভাবে চিনবেন

শরীরের ব্যথা দূর করবে যে সব খাবার

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর