গ্রিন টি খাবেন, তবে বেশি নয়

গ্রীন টি’র সাথে আমরা সবাই মোটামুটি পরিচিত। গ্রীন টি বা সবুজ চা এবং সাধারণ চা এর মধ্যে স্বাদের পার্থক্য রয়েছে। এ দুটোর মধ্যে মুল পার্থক্য হলো এর রাসায়ানিক পদার্থগুলোর মাঝে। গ্রিন টিতে সাধারণ চায়ের চেয়ে বেশি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট জানায়, হাজার বছর ধরে ওষুধ হিসেবে গ্রিন টি ব্যবহৃত হচ্ছে। গ্রিন টি ক্যানসার প্রতিরোধ করে, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে আরো অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ। সবুজ চায়ের উৎপত্তি স্থল চীন হলেও বর্তমানে সারা বিশ্বেই এই চা জনপ্রিয়। চীনে প্রায় ৪০০০ বছর আগে থেকে গ্রিন টিয়ের ব্যবহার শুরু হয়েছিল।

গ্রিন টির স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকলেও অতিরিক্ত গ্রিন টি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। জেনে নিন গ্রিন টির কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে-

• মাথা ধরা/ ব্যাথায় আমরা চা খাই। কারণ আমাদের ধারণা চা খেলে মাথা ব্যাথা কমে। তবে গ্রিন টিতে থাকা ক্যাফেইনের ফলে উল্টো মাথা যন্ত্রণায় ভুগতে পারেন।
• গ্রিন টি শরীর ও মন চাঙ্গা করে ঠিকই কিন্তু বেশি বেশি গ্রিন টি খেলে উল্টো মেজাজ বিগড়ে থাকতে পারে আপনার। শরীরে ক্যাফেইনের মাত্রা বেড়ে গেলে বেড়ে যায় স্নায়ুর অস্থিরতা। ফলে মুডও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
• এই চা দিনে দু’কাপের বেশি নয়। এর বেশি খেলে শরীরে ক্যাফেইনের মাত্রা ২০০ মিলিগ্রামের বেশি হয়ে বেড়ে যেতে পারে হার্টবিট।
• গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত গ্রিন-টি খেলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোনো রকম ব্লিডিং ডিজঅর্ডার থাকলে গ্রিন টি পান করা যাবে না। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
• গ্রিন টিতে বিদ্যমান ক্যাফেইন ইউরিনের সঙ্গে শরীরের ক্যালসিয়াম বের করে দেয়। ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিয়ে দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন আপনি। শুধু ক্যালসিয়াম নয় প্রয়োজনীয় উপাদান বেরিয়ে গিয়েও লিভার নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
• গ্রিন টি বেশি খেলে চোখের পেশীতে চাপ পড়ে গ্লুকোমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গ্লুকোমা ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দেয়।

সুতরাং গ্রিন টি পান করুন, তবে বেশি নয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

ওজন বাড়লে কমবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা

লবণ বেশি খাওয়ার মারাত্মক প্রভাব

নিয়মিত পান করুন পুদিনাপাতার জুস

ঘরে বানানো পানীয়তে মাথাব্যথার সমাধান

হজম শক্তি বাড়াতে ও চুল পড়া কমাতে ব্যায়াম