বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা: ফেঁসে গেলেন আট হাজার বছরের জন্য!

অস্ট্রেলিয় নাগরিক নোয়াম হুপার্ট ২০১৩ সাল থেকে ইসরায়েলে আটকে আছেন। তার সাবেক স্ত্রীর করা মামলায় গত আট বছর ধরে তিনি এ সাজা ভোগ করছেন। বাকি থাকা সাজার তুলনায় এটি কিছুই নয়। কারণ তাকে আট হাজার বছর আটক রাখার সাজা দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ডট কম এইউর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

অস্ট্রেলিয় নাগরিক নোয়াম হুপার্ট

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, খুব একটা চর্চা হয় না এমন একটি ইসরায়েলি আইনের ফাঁদে আটকে গেছেন নোয়াম হুপার্ট। তিনি জানান, তার সাবেক স্ত্রী তিন ও পাঁচ বছরের দুই সন্তানকে নিয়ে ইসরায়েলে চলে এসেছিলেন। সন্তানদের সাথে থাকার জন্য তিনিও ২০১২ সালে ইসরায়েল চলে আসেন।

হুপার্ট ইসরায়েল আসার কিছুদিন পর স্থানীয় একটি আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন তার সাবেক স্ত্রী। ওই মামলার রায়ে আদালত তার বিরুদ্ধে সন্তানদের ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫ হাজার ইসরায়েলি শেকেল ভবিষ্যত ঋণ পরিশোধ করতে ‘স্টে অব এক্সিট’ আদেশ জারি করে। এই অর্থ পরিশোধের আগ পর্যন্ত তিনি কোনোভাবেই ইসরায়েল ত্যাগ করতে পারবেন না। কোনো কাজের জন্যেও না। কার্যত এটি ৮ হাজার বছর বন্দি থাকার থাকার আদেশ। ৯৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ইসরায়েল ছাড়তে পারবেন না। অবশ্য তিনি যদি শিশুদের ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য ৩০ লাখ ডলার পরিশোধ করতে পারেন তাহলে ইসরায়েল ত্যাগে কোনো বাধা থাকবে না।

সেই আদেশের প্রমাণপত্র

ইসরায়েলে খুব কম পরিচিত একটি আইনের কারণে ভুগছেন হুপার্ট। এ আইনে হাজারো বিদেশি সেখানে আটকা পড়েছেন।

একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কেমিস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হুপার্ট বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আমি ইসরায়েলে বন্দি। সাবেক স্ত্রী দেশে ফিরে আসায় দুই সন্তানের কাছাকাছি থাকার জন্য ২০১২ সালে ইসরায়েলে চলে আসি। ফিরে আসার পরপরই ওই স্ত্রী ইসরায়েলের একটি আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আইনে মামলা করলে আমাকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি নারীদের বিয়ে করে তাদের বিচার ব্যবস্থায় নিপীড়নের শিকার হচ্ছে অনেক অস্ট্রেলীয় নাগরিক। আমি তাদের অন্যতম।

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, একজন স্বাধীন সাংবাদিক এই আইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন।