প্রতিরক্ষা হটলাইন চালু করতে সম্মত চীন-জাপান

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নোবুও কিশি আজ সোমবার বলেছেন, প্রতিরক্ষা হটলাইন চালু করতে পরস্পর সম্মত হয়েছে চীন ও জাপান। পূর্ব চীন সাগরে বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে দুদেশের কর্মকর্তাদের আলোচনা হয়েছে। তাতে একটি প্রতিরক্ষা হটলাইন চালু করতে চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংগে রাজি হয়েছেন। নিক্কেই এশিয়ার খবর।

ওয়েই ফেংগে

কিশি ওয়েইয়ের সাথে একটি ভিডিও কনফারেন্স করেন ওয়েই ফেংগে। এরপর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা জাপানের নিরাপত্তার জন্য অত্যাবশ্যক এবং টোকিও তাতে ঘনিষ্ঠভাবে অংশ নেবে।

কিশি বলছেন, আমরা নিশ্চিত করেছি যে, জাপানি এবং চীনা প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি হটলাইন প্রাথমিকভাবে চালু করা গুরুত্বপূর্ণ। জাপান-শাসিত সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের আশেপাশের সমুদ্রে চীনা উপকূলরক্ষী জাহাজের কার্যকলাপে আমরা উদ্বিগ্ন। কিন্তু বেইজিং তা অস্বীকার করেছে এবং বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে।

নোবুও কিশি

চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই জাপানি কিশিকে বলেছেন, সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের সার্বভৌমত্ব চীন দৃঢ়ভাবে স্বীকার করে এবং চীন আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি এ অঞ্চলের সামুদ্রিক অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষা করবে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সামগ্রিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে এবং পূর্ব চীন সাগরে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দুদেশেরই যৌথ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা করা উচিত।

গত বছরের ডিসেম্বরের পর থেকে এ নিয়ে চীন-জাপান প্রথম আলোচনা করে। ওই আলোচনা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলেছিল। তখন কিশি বলেছিলেন, হটলাইনটি স্থাপন করা গেলে দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার দক্ষতা বাড়াবে। ২০১৮ সালে সমুদ্রে এবং আকাশে দুর্ঘটনাজনিত সংঘর্ষ এড়াতে এরকম একটি হটলাইন চালু করেছিল চীন ও জাপান।

কিশি বলছেন, চীন নতুন উপকূলরক্ষা আইন করেছে যা চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। আইনটি স্পষ্টভাবে চীনা উপকূলরক্ষীদের বিদেশি জাহাজের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। আমরা এই আইনের ব্যাখ্যা চাইব।

বিতর্কিত ওই আইন প্রণয়নের পর কিশি মূলত ফেব্রুয়ারিতেই ওয়েইয়ের সাথে আলোচনায় বসার অনুরোধ করেছিলেন।