মন্ত্রী: বিদেশে খালেদার চিকিৎসার আইনগত সুযোগ নেই

‘লিভার সিরোসিসে’ আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার আবেদন করেছে তার পরিবার। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী মতামত দেয়ার কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

হাসপাতালে খালেদা জিয়া, ফাইল ছবি

গতকাল সোমবার বিষয়টি জানালেও কী ধরনের মতামত দেয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় তিনি জানান, আইনগতভাবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর কোনো সুযোগ নেই।

জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দারের দেয়া চিঠিটি আইন সম্মত কিনা, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী তার মতামত দিয়েছেন। সেটি স্টাডি করে দেখছি, এটা নিয়ে কথাবার্তা বলতে হবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল, ফাইল ছবি

পরবর্তীতে প্রয়োজন মনে হলে অধিকতর জায়গায় পরামর্শ নেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বসে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব। মানবিক দিক বিবেচনা করেই খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে বাসায় বসে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি দেশের যে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন।

এর আগে গতকাল আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪০১ ধারায় দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তি হলে তা আবার বিবেচনা করার সুযোগ নেই। আইনের যে ব্যাখ্যা আমি আগে দিয়েছি, সেটিই সঠিক বলে মনে করি। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

সবশেষ গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয় বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। সেখানে তিনি ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ রয়েছেন বলে জানানো হয় দলটির পক্ষ থেকে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।

এদিকে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয়, কখনো ভালো আবার কখনো খারাপ হয় বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। এ ছাড়া ক্রমশ তার স্বাস্থ্যহানি ঘটছে, যা নতুন দুশ্চিন্তার কারণ বলেও জানান তারা।