ইসরায়েলের মোকাবেলায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি হামাসের

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন এবং বসতি বিস্তারের মুখে হামাস নীরব থাকবে না। একাধিক ফ্রন্টে ইসরায়েলকে মোকাবেলা করার জন্য প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা এবং সামরিক শক্তি গড়ে তুলবে তারা।

হামাসের নতুন প্রস্তুতি

গাজায় ২০০৮-০৯ যুদ্ধের ১৩তম বার্ষিকীতে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হামাস এসব কথা জানায়। ইসরায়েল তার নানামুখী অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং অধিকৃত আল-কুদস ও পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করেছে, তখন হামাসের জন্য অলস বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করা হয় ওই বিবৃতিতে।

এতে আরো বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়, অধিকৃত ভূমি স্বাধীন করা, ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা করা এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অপরাধ দমনের সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে সশস্ত্র সংগ্রাম এবং দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান।

হামাস যোদ্ধা

ফিলিস্তিনি জাতির বিরুদ্ধে কৃত অপরাধের জন্য তাদের সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হামাস বলছে, আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণ, ভূমি ও পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে দখলদারিত্বের অপরাধ কোনো ধরনের প্রেসক্রিপশন দ্বারা হ্রাস পাবে না। এর অপরাধীদের যুদ্ধাপরাধী হিসাবে আগে বা পরে বিচার করা হবেই।

ইসরায়েলের বসতি স্থাপন কার্যক্রম এবং ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে তাদের পূর্বপুরুষের বাড়ি থেকে পরিকল্পিত উচ্ছেদ নিয়ে কয়েক মাস ধরে অধিকৃত অঞ্চলে উত্তেজনা চলছে। এ অবস্থায় হামাস সতর্ক করে বলেছে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের আচরণ এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণ নতুন ইন্তিফাদার (অভ্যুত্থানের) জন্ম দেবে।

ছিটমহলে হামাস ক্ষমতায় আসার পর তেল আবিব ২০০৭ সালে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আকাশ ও স্থল অবরোধ আরোপ করে। অবরোধের মাধ্যমে গাজাবাসীদের মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের প্রবেশাধিকারও নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েল।