ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার এক কদম দূরে তুরস্ক

নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি এ ব্যাপারে অন্য দেশের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চাইছে তুরস্ক। এর অংশ হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পাশাপাশি এবার তারা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও তৈরি করতে যাচ্ছে। তাদের প্রত্যাশা, অচিরেই তারা এটি নিজেদের বহরে যুক্ত করতে পারবে। গতকাল মঙ্গলবার তুরস্কের গণমাধ্যম এই খবর দিয়েছে।

সাইপার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা

তুরস্কের জাতীয় দৈনিক ‘সাবাহ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নত করতে চায়। এ ক্ষেত্রে তারা অন্যের ওপর নির্ভরশীলতাও কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে তুরস্ক অভ্যন্তরীণ নতুন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করবে। এটি রাশিয়ার এস-৪০০ ও আমেরিকার প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অনুরূপ।

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২২ সালে তুর্কি সরকার অভ্যন্তরীণভাবে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্প অব্যাহত রাখবে। এরইমধ্যে সাইপার ও হিসার নামের নতুন দুটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র দ্রুতগতির লক্ষ্যবস্তুকে সফলতার সঙ্গে ধ্বংস করতে সক্ষম।

যেভাবে কাজ করে সাইপার

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি বলেছে, তুরস্ক সাইপার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চূড়ান্ত করার এক কদম দূরে অবস্থান করছে। তাদের এই প্রকল্প সফল হলে এটি রাশিয়ার এস-৪০০ এবং আমেরিকার প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ২০২৩ সাল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তুরস্কের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হবে এবং শত্রুর যে কোনো হুমকি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য উপায়ে ধ্বংস করতে পারবে।

এছাড়া, হিসার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্বল্প ও মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি তুরস্কের সামরিক ও কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষার কাজ করবে হিসার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।