ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ হলে মূল্য চুকাতে পারবে না শত্রুরা!

ইরানের একজন সিনিয়র সামরিক কমান্ডার দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি পরীক্ষা না করার পরামর্শ দিয়েছেন শত্রুদের। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে শত্রুরা সর্বাত্মক সংঘর্ষের খরচ বহন করতে পারবে না। ইরানের খাতামুল আম্বিয়া বিমান প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ গতকাল মঙ্গলবার এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।

মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ

রশিদ বলেন, শত্রুর সামান্যতম ভুল হলে সঠিক সময়ে এবং স্থানে সঠিকভাবে গণনা করা জবাব দেওয়া হবে। শত্রুর জানা উচিত, আমরা সর্বদা তাদের পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা প্রস্তুত এবং এটি নিশ্চিত, শত্রুরা যে লক্ষ্য অর্জন করতে চায় তার তুলনায় তাদেরকে অনেক বেশি মূল্য দিতে হবে।

জেনারেল রশিদ আশা করেন, শত্রুরা তাদের ইচ্ছা ও শক্তি পরীক্ষা করার চেষ্টা করবে না। অন্যথায় ইরানের সামরিক শক্তি শত্রুদের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তার চেয়ে বরং ইরানের শক্তিতে বিশ্বাস করলেই শত্রুদের ক্ষতি কম হবে।

ইসরায়েল-ইরান সম্পর্ক

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরান এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন মিত্রদের মধ্যে বিশেষ করে ইসরায়েলে যখন সামরিক উত্তেজনা বাড়ছে তখন জেনারেল রশিদ এই বক্তব্য দিলেন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরান এবং পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে চলা পরমাণু আলোচনা বানচাল করতে চাইছে ইসরায়েল। এটা পরিষ্কার, ইরানের সঙ্গে পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর নতুন কোনো পরমাণু চুক্তি চায় না তারা।

ইসরায়েল সরকার কয়েকদিন ধরে ইরানে আক্রমণের ব্যাপারে উস্কানি দিচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ আমেরিকান কর্মকর্তাদের জানান, তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে সামরিক হামলার জন্য প্রস্তুত হতে সরকারের সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড গত সোমবার বলেছেন, আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি, তবে প্রয়োজন হলে একাই কাজ করব। আমরা নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে পারি।

এদিকে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) গত সপ্তাহে একটি বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সেখানে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাকেরি এবং আইআরজিসি প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি উভয়েই সতর্ক করে বলেছেন, ইরানী সশস্ত্র বাহিনী যে কোনো হামলার ক্ষেত্রে হানাদারদের হাত ছিন্ন করে দেবে।