আফগান নারীদের জন্য বিশেষ দূত রিনা আমিরি

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন গতকাল বুধবার রিনা আমিরিকে আফগানিস্তানে নারী, মেয়ে এবং মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। আফগান বংশোদ্ভূত রিনা এর আগে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের জন্য মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধির সিনিয়র উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছিলেন। খবর রয়টার্সের।

রিনা আমিরি

পশ্চিমা-সমর্থিত আশরাফ ঘানি সরকারের পতন এবং ২০ বছরের যুদ্ধের পরে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রেক্ষিতে তালেবান কর্তৃক আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চার মাসেরও বেশি সময় পরে এই নিয়োগ দেয়া হলো।

এ ব্যাপারে এক টুইটারে ব্লিংকেন বলেন, রিনা আমিরির দুই দশকেরও বেশি দক্ষতা ‘সকলের জন্য আরো শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও নিরাপদ আফগানিস্তানের’ দিকে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও নিরাপদ আফগানিস্তান চাই, যেখানে সমস্ত আফগান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিস্থিতিতে বসবাসের পাশাপাশি উন্নতি করতে পারে।

আফগান নারী ও শিশু

বাইডেন প্রশাসন আফগানিস্তানে নারী কর্মীদের জীবন রক্ষা করতে এবং নিরাপদে তাদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় নারী অধিকার গোষ্ঠীগুলোর কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। আমিরি ছিলেন সেই সমালোচকদের অন্যতম।

সবশেষ প্রবন্ধে আমিরি লিখেছিলেন, আফগান জনগণকে ক্ষুধার্ত হওয়ার দিকে পরিচালিত করে, এমন নীতিগুলোর কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই। তালেবান, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলিকে অবশ্যই কূটনীতিতে জড়িত হতে হবে, ঝুঁকি নিতে হবে এবং একটি কঠিন আপস করতে হবে। তিনি কূটনৈতিক স্বীকৃতি অব্যাহত রেখে তালেবানের সাথে ‘নীতিগত অথচ বাস্তবসম্মত কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার’ আহ্বান জানান।

রিনা আমিরি একজন আফগান বংশোদ্ভূত বুদ্ধিজীবী। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরে কাজ করেছেন। তিনি আফগানিস্তান বিষয়ে সরকার ও জাতিসংঘকে দুই দশক ধরে পরামর্শ দিয়ে আসছেন।