দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনের চূড়ান্ত ঢেউ

দক্ষিণ আফ্রিকা রাতারাতি কারফিউ নিয়ম তুলে নিয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটি কোভিড-১৯ সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ পার করে ফেলেছে। একটি সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওমিক্রন অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য হলেও আগের তরঙ্গের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তির হার কম। এতে মৃত্যুর সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিবিসি।

ওমিক্রন

গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ধরা পড়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। কয়েকদিনের মধ্যে পুরো বিশ্বে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সংক্রমণবৃদ্ধির এই হারকে ‘সুনামি‘ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

মন্ত্রিসভার একটি বিশেষ বৈঠকের পর দক্ষিণ আফ্রিকা বিবৃতিতে বলেছে, দেশের প্রায় সমস্ত প্রদেশে আক্রান্ত এবং হাসপাতালে ভর্তির হার কমে গেছে। ২০২১ সালের শেষ সপ্তাহে সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৭৮১, যা আগের সপ্তাহে ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৩ থেকে কম।

ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও হাসপাতালে ভর্তির হার কম

দেশটিতে ঘোষিত পরিবর্তনগুলোর মধ্যে মধ্যরাত থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত চলাফেরার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাত ১১টায় বন্ধ করার পরিবর্তে স্বাভাবিক নিয়মে আসতে শুরু করেছে। 

ওমিক্রন সংক্রমণ শীর্ষ পর্যায়ে থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগী ভর্তির সক্ষমতা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। জনসাধারণকে টিকা নিতে ও বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নিয়ম মানতে হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সমাবেশগুলোতে ৫০ শতাংশ লোক জমায়েত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মহামারি চলাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন লোক করোনায় আক্রান্ত হয়। এছাড়া ৯০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলে চতুর্থ ডোজ টিকা অনুমোদন করা হয়েছে। ফ্রান্সে টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য ২ লাখের বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছে।

ভারতে কারফিউসহ বিধিনিষেধ আরও কঠোর হচ্ছে। তবে জানুয়ারির শুরুতে অধিকাংশ দেশে ওমিক্রনের ভয়াবহতা কমে আসবে। পর্তুগালে আইসোলেশনের সময়কাল ১০ থেকে কমিয়ে সাত দিন করা হয়েছে।