হুথি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৪ ইয়েমেনি সেনা

ইয়েমেনের হুথিরা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্তর্গত ইয়েমেনি বাহিনীর একটি ক্যাম্পে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। মারখার ক্যাম্পে গতকাল বৃহস্পতিবার চালানো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে চার সেনা নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন। তিনটি সামরিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় এক কর্মকর্তা নিহতের সংখ্যা সাত বলে জানিয়েছেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথিরা

হুথিদের বা জোটপন্থী জায়ান্ট ব্রিগেডের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গত বুধবার সৌদি সামরিক জোট জানিয়েছিল, পশ্চিম ইয়েমেনে আগে থেকে অবস্থানরত যোদ্ধারা দক্ষিণের শাবওয়াতে পৌঁছেছে।

ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে সৌদি জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইরান-সমর্থিত হুথিরা। তারা দেশের একমাত্র গ্যাস উৎপাদনকারী এলাকা এবং এর বৃহত্তম তেলক্ষেত্রের আবাসস্থল মারিব প্রদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

হুথি যোদ্ধা

গোষ্ঠীটি শাবওয়াতে প্রবেশ করেছে এবং মারিবে সরবরাহ লাইন কেটে দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের শেষ উত্তরের দুর্গ। তবে সরকারি বাহিনী এখনও মারিবের রাজধানী এবং নিকটবর্তী হাইড্রোকার্বন দখল ধরে রেখেছে।

ইয়েমেন যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। লাখ লাখ বেসামরিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে একটি সামরিক অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে দেশটি। ২০২১ সালে ফ্রন্টলাইনে পরিবর্তন এসেছে, যা স্থবির শান্তি প্রচেষ্টাকে আরও জটিল করতে পারে।

হুথিরা সৌদি আরবের ওপর আন্তঃসীমান্ত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা বাড়িয়েছে। সামরিক জোট ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে। জাতিসংঘের বিশেষ দূত হ্যান্ডস গ্রুন্ডবার্গ ১৪ ডিসেম্বর সতর্ক করে দেন, ক্রমবর্ধমান যুদ্ধের রক্তাক্ত অধ্যায় ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে।

সানা থেকে হুথিরা মনসুর হাদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে ইয়েমেন সহিংসতায় নিমজ্জিত হয়েছে। সৌদি সামরিক জোট ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে ইয়েমেনে হস্তক্ষেপ শুরু করে। এই সংঘর্ষকে মূলত সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়।