তাইওয়ানের হুমকি: স্বাধীনতা অপরাধ নয়

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বলেছেন, স্বাধীনতা কোনো অপরাধ নয়। আমরা নিজেদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করব। এ সময় চীনের ক্রমাগত এবং ক্রমবর্ধমান সামরিক ও কূটনৈতিক চাপের মধ্যে দ্বীপটি তার স্বাধীনতা-গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন

গতকাল শনিবার নববর্ষ উপলক্ষে দেয়া ভাষণে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বলেন, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার অন্বেষণ কোনো অপরাধ নয়। নিজেদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে আমরা যেমন লালন করবো, তেমনি গণতন্ত্রকেও সমুন্নত করব। এর পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, হংকংকে সমর্থনে তাইওয়ানের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না।

দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, আমরা তাইওয়ানকে আরো উন্নত করব এবং বিশ্বকে দেখাব, কর্তৃত্ববাদী চীনের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার সাহস গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের রয়েছে। কোনো চাপের কাছেই মাথা নত করব না।

তাইওয়ানের আকাশে চীনের মহড়া, ফাইল ছবি

কয়েক দশক ধরে পৃথক শাসনের পরেও তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলেই মনে করে চীন। তাইপে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন শক্তিশালী দেশের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধি করে চীনা আগ্রাসন মোকাবেলা করে যাচ্ছে। তবে চীনও ক্রমবর্ধমান সামরিক ও কূটনৈতিক চাপের মধ্যে রাখছে তাইওয়ানকে।

গত বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানায়, রুটিন মহড়ার অংশ হিসেবে তাইওয়ানের আকাশে ৯৪০টি যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল চীন। তবে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে, সংখ্যাটি আরো বেশি হবে। গত বছর তাইওয়ানের আকাশে চীন প্রায় ৯৫০ বার অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। আগামীতে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ।

এ অবস্থায় দেশটির প্রেসিডেন্ট তার স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং বিশ্বের সাথে সংযোগ স্থাপনের ব্যাপারগুলোকে চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী আমাদের সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখা, অর্থনৈতিক গতি সচল রাখা, সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করা এবং সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই নতুন বছরে আমাদের চ্যালেঞ্জ।