দুর্ঘটনায় হতাহত: দুই সংগঠনের তথ্যে এত ব্যবধান!

সদ্য বিদায়ী বছরে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহত নিয়ে সংশ্লিষ্ট দুই সংগঠনের হিসাবে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তার মধ্যে ২ হাজারের ব্যবধান লক্ষ করা গেছে। এমনকি দুর্ঘটনার সংখ্যায়ও প্রায় ২ হজার ফারাক দেখা যাচ্ছে। আজ শনিবার পৃথক অনুষ্ঠানে প্রকাশ করা হয় সংগঠন দুটির এ তথ্য।

সড়ক দুর্ঘটনা, ফাইল ছবি

সড়কে দুর্ঘটনার তথ্য সরকারিভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান সংরক্ষণ না করায় বেসরকারি একাধিক প্রতিষ্ঠান এ নিয়ে কাজ করছে দেশে। তারা পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম থেকে তথ্য নিয়ে তা সংগঠিত করে প্রায় নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে। এমনই দুটি সংগঠন হচ্ছে নিরাপদ সড়ক চাই, নিসচা ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

এর মধ্যে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গেলো বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, ৫ হাজার ৩৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ২৮৪ জন মারা গেছে, আহত হয়েছে ৭ হাজার ৪৬৮ জন। ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশনের সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

নিরাপদ সড়ক চাই ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

এদিকে, জাতীয় প্রেসক্লাবে নিসচার প্রকাশ করা পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ৩ হাজার ৭৯৩ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৪ হাজার ২৮৯টি, আহত হয়েছে ৫ হাজার ৪২৪ জন। ১১টি জাতীয় পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের সংবাদ এবং নিজস্ব শাখা সংগঠনগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে এটি প্রকাশ করা হয়।

এ হিসাব অনুযায়ী, দুর্ঘটনা, মৃত্যু ও আহতের সংখ্যায় প্রায় দুই হাজার করে পার্থক্য দেখা যায়। সংবাদমাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করায় এমন বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সরকারিভাবে আধুনিক, উন্নত প্রযুক্তি ও পদ্ধতিতে সড়ক দুর্ঘটনা এবং ক্ষয়ক্ষতির তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করা উচিত। কেননা, সঠিক তথ্য জানার অধিকার রয়েছে জনগণের।

এ ছাড়া রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে বিদায়ী বছরে ৭৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৫৯ জন প্রাণ হারিয়েছে, আহত হয়েছে ১৯২ জন। এসব দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিখোঁজ থাকার তথ্য মিলেছে। আর ১২৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন নিহত ও ৩৯ জন আহত হয়।

এ ক্ষেত্রে নিসচা বলছে, নৌপথে ৯০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যাতে ১৯৮ জন নিহত ও ৩৩৯ জন আহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে ১৮৬ জন। রেলপথে ২৭০টি দুর্ঘটনায় ২৫৪ জন নিহত, আহত হয়েছে ৪২ জন।