জাতিসংঘ: তালেবান সরকারের সাথে সংলাপ ‘গুরুত্বপূর্ণ’

জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ইসলামিক আমিরাতকে টেকসই রাখতে হলে এবং এর জনগণকে সাহায্য করতে চাইলে সংলাপ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক সংস্থাটির শরণার্থীবিষয়ক কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি

তিনি বলেন, আফগানিস্তানকে যদি এমন পর্যায়ের কার্যকর দেশ হিসেবে রাখতে হয়, যাতে সে তার জনগণকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে তাহলে আমি মনে করি, এ পরিস্থিতি কেবল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও তালেবানের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব।

কাবুল সফরের সময় ইসলামিক আমিরাতকে দেয়া বার্তায় গ্র্যান্ডি জানিয়েছিলেন, যদি তারা আর্থিক প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে চায় তাহলে কিছু প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। তিনি বলেন, যখন আমি ও আমার সহকর্মীরা কাবুলে ছিলাম, তখন তালেবানকে জানিয়েছিলাম, আপনারা যদি চান আপনাদের সম্পদ ও সম্পদের প্রবাহ কোথাও না আটকে স্বাভাবিক থাকুক, যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনে আপনাদের দেশে উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চান, তাহলে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এটি উভয় দিকের জন্যই প্রযোজ্য, আর তা হলো সংলাপ।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি

ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এই তালেবান সরকার কি আগের তালেবান সরকারের মতোই, না-কি ভিন্ন? জবাবে তিনি বলেছিলেন, এরা পুরোপুরি আলাদা। তাদেরকে বাঁচতে হবে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।

এদিকে ইসলামিক আমিরাত জানিয়েছে, তারা বিশ্বের সাথে ইতিবাচকভাবে জড়িত থাকতে এরই মধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেন, আমরা অনেক দেশ সফরে গেছি। কথা বলেছি, অধিবেশনে অংশ নিয়েছি। এসব স্থানে আমাদের স্বাগত জানানো হয়েছে। আমি মনে করি, ইসলামিক আমিরাতের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য এটি একটি ভালো সম্পৃক্ততা।

তালেবান সরকারের আরেক মুখপাত্র ইনামুল্লাহ সামাঙ্গানি বলেন, আমরা এরই মধ্যে কিছু সমস্যার সমাধান করেছি। আর বাকি সমস্যাগুলো কূটনৈতিকভাবে এবং যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত এসব বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।