কাজাখস্তানে দমন-পীড়নে নিহত অন্তত ১৬৪

জনতার বিক্ষোভের সময় সরকারি দমন-পীড়নে কাজাখস্তানে কমপক্ষে ১৬৪ জন মারা গেছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি প্রতিবেদনে তথ্যটি জানানো হয়। এর আগে ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। কাজাখ প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভ বলেছেন, ২০ হাজার দস্যু আলমাটিতে আক্রমণ করেছিল এবং তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্কতা ছাড়াই গুলি চালাতে আদেশ দেন। বিবিসি।

কাজাখস্তানে বিক্ষোভ পরিণত হয়েছে দাঙ্গায়

কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় গতকাল বোববার বলেছে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি নাগরিকসহ প্রায় ৬ হাজার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বিশাল দাঙ্গায় পরিণত হয়।

গত ২ জানুয়ারি বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। বর্তমান সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে বিক্ষোভকারীরা। গত সপ্তাহে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য রাশিয়ার সেনাবাহিনী কাজাখস্তানে পাঠানো হয়েছিল। তবে প্রেসিডেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। সৈন্যরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাহারা দিচ্ছে।

দমন-পীড়নে নিহত অন্তত ১৬৪

এদিকে, কাজাখস্তানে জরুরি অবস্থা এবং দেশব্যাপী কারফিউ বহাল রয়েছে। বিবিসির স্টিভ রোজেনবার্গ বলছেন, রাজধানী আলমাটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শহরের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক সহিংসতা কাজাখস্তানের শাসক অভিজাতদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের সাথে যুক্ত বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

প্রধান শহর আলমাটিতে সহিংসতায় প্রায় ১০৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, তারা শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করার সময় আলমাটিতে দাঙ্গাবাজদের হত্যা করেছে এবং বিক্ষোভকারীরা শহরের পুলিশ স্টেশনগুলো নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছিল।

রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন প্রেসিডেন্টের নির্দেশের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, শুট-টু-কিল অর্ডার ভুল এবং তা প্রত্যাহার করা উচিত। কাজাখ প্রেসিডেন্ট কেন রাশিয়ার কাছে সেনা পাঠানোর অনুরোধ করেছিল তার জানতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির সাবেক গোয়েন্দা প্রধান করিম মাসিমভকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানায়নি। ম্যাসিমভের দুই সাবেক ডেপুটি মারাত ওসিপভ ও দৌলেট এরগোজিনকে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। প্রকাশ্যে বরখাস্তের কারণ জানাতে পারেনি প্রেসিডেন্টর কার্যালয়।