গণঅভ্যুত্থান দিবস আজ

আজ ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস। ঊনসত্তরের এই দিনটি বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক। এই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

গণঅভ্যুত্থান দিবস আজ

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধিকার আন্দোলনের ইতিহাসে এই দিনটি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে। দেশের স্বাধিকার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করার আহ্বানও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান।

অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপ্রিয় আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যায়। সরকার প্রধান বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। সশস্ত্র সেই যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। লাভ করেছি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ।

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।