হুথিদের তাড়িয়ে সরে আসছে আমিরাত ব্রিগেড

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিলিশিয়া বাহিনী ইয়েমেনের শাবওয়া প্রদেশ থেকে হুথি বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করেছে। হুথিরা পরাজিত হওয়ার পর সেই এলাকা থেকে আমিরাতের বাহিনী সরে আসতে শুরু করেছে। গতকাল শুক্রবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়। মূলত ওই পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে হুথিরা সম্প্রতি আবুধাবিতে দুই দফা হামলা চালায়। এএফপি।

ইয়েমেনে আমিরাতের মিলিশিয়া বাহিনী

আমিরাতের জায়ান্টস ব্রিগেড জানাচ্ছে, তারা শাবওয়া প্রদেশ থেকে বিদ্রোহীদের তাড়িয়ে দেওয়ার পর কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর মারিবের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেখানে তাদের বাহিনীকে পুনঃস্থাপন করা হবে। এলাকাটি হুথি বিদ্রোহীরা কয়েক মাস ধরে দখল করার চেষ্টা করছে।

শাবওয়া থেকে সরে আসার ঘোষণাটি এমন সময় এল, যখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে হুথি বিদ্রোহীরা দুটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। প্রথম হামলায় তিনজন তেল শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

আরব আমিরাতে হুথিদের হামলা

এএফপিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, শাবওয়া প্রদেশে আমিরাতের জায়েন্টস ব্রিগেডের অর্জিত সাফল্যের পর তাদের ব্রিগেডগুলোকে সদর দপ্তরে স্থানান্তর করতে শুরু করেছে। বিহান ও হারিব জেলা মুক্ত এবং হুথি মিলিশিয়াদের থেকে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত করার পর ব্রিগেডগুলো শাবওয়াতে পুনঃস্থাপন করা হয়।

আমিরাতের জায়ান্ট ব্রিগেড সৌদি নেতৃত্বাধীন সরকারপন্থী জোটের অংশ হিসাবে লড়াই করছে। তারা ইয়েমেনের শাবওয়া প্রদেশে যাওয়ার পর হুথিদের বিরুদ্ধে মারাত্মক আঘাত হেনেছিল। গত ১৫ নভেম্বর জোট জানায়, লোহিত সাগরের উপকূলে তাদের ঘাঁটি থেকে যোদ্ধাদের পাঠানো হয়েছিল। সব ফ্রন্টে ইয়েমেনি সরকারকে তার যুদ্ধে সমর্থন করার জন্য তাদের পাঠানো হয়।

শাবওয়া থেকে বিদ্রোহীদের তাড়িয়ে দেওয়ার পরে তারা মারিব প্রদেশের হারিব জেলাও দখলে নেয়। এখন তারা মারিব শহরের দিকে চাপ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। ইয়েমেন সরকারের শেষ উত্তরাঞ্চলীয় ঘাঁটি, যা কয়েক মাস ধরে বিদ্রোহীদের চাপে রয়েছে।

এদিকে শাবওয়া প্রদেশে পরাজয়ের পর হুথি বিদ্রোহীরা দুই সপ্তাহ পর আবুধাবিতে হামলা চালায়। এর আগে ৩ জানুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকাবাহী একটি জাহাজও দখল করে হুথিরা। গত সোমবার ভোরবেলা আবুধাবির ওপর দিয়ে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা আবুধাবির আকাশ আলোকিত করে তোলে।

সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী ২০১৫ সালের মার্চ মাসে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান ঘোষণা করে। সংঘাতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং লাখ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।