স্পাইওয়্যার লাইসেন্সে নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন বিন সালমান

অপব্যবহারের নজির থাকায় পেগাসাস স্পাইওয়্যার নির্মাতা এনএসও গ্রুপ রিয়াদের লাইসেন্স নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। সৌদি কর্তৃপক্ষ অনেকভাবে চেষ্টা করেও তাদেরকে রাজি করাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে লাইসেন্স নবায়ন করেছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

ওই প্রতিবেদন মতে, ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপ সফ্টওয়্যারটির অপব্যবহারের উদ্ধৃতি দিয়ে রিয়াদের লাইসেন্স নবায়নের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে। ২০১৮ সালে বিন সালমানের স্পষ্ট সমালোচক এবং ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগিকে হত্যার সাথে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছিল, প্রতিবেদনে এমনটি স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল। সৌদি সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে খাশোগিকে হত্যা করে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়।

ওই ঘটনার পর রিয়াদের লাইসেন্স নবায়ন বন্ধ করে দেয়া হয়। লাইসেন্স ছাড়া ওই বিশেষ সফটওয়্যারটির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। এতে সৌদি সিস্টেম ক্র্যাশ করতে থাকে।

এনএসওর কার্যালয়

বিষয়টির সমাধানের জন্য এনএসও, মোসাদ ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সৌদি আরব থেকে অসংখ্যবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর লাইসেন্সটি নবায়ন করেন যুবরাজ নিজেই নেতানিয়াহুকে ফোন করেন।

নেতানিয়াহু বিষয়টি সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কথা জানিয়ে অবিলম্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে ওই মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সৌদির লাইসেন্স নবায়নে এনএসওকে ফোন করেন এবং সৌদি সিস্টেমগুলোকে আবার চালু করতে বলেন।

কিন্তু এনএসও লিখিত কোনো ডকুমেন্ট ছাড়া লাইসেন্স নবায়নের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। পরে নেতানিয়াহুর উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ইমেইল পাঠানো হলে এনএসও সৌদি আরবের জন্য আবারো পেগাসাস স্পাইওয়্যার চালু করে দেয়। পরদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এনএসও-এর সদর দপ্তরে একটি লিখিত অনুমতি প্রদান করে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ২০২০ সালে সৌদি আরবের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনাটি তার আগের।