ইরানের নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন

ইরানের ওপর জারি থাকা কঠোর নিষেধাজ্ঞা হালকা করতে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে আসার বিষয়ে ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চূড়ান্ত সমাধানের দিকে যাচ্ছে। আল জাজিরা।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের পতাকা

ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ান, চীনা এবং ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোকে ইরানের পারমাণবিক সাইটগুলোতে অপ্রসারণ কাজ তদারকির অনুমতি দিয়েছিলেন। ওই কর্মকর্তা বলছেন, চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনার মূল বিষয় ছিল প্রযুক্তিগত আলোচনার অনুমতি চুক্তি। যা আনুষ্ঠানিকভাবে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, যদি একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো নাও যায়, তবে পারমাণবিক অস্ত্রের অপ্রসারণ নিয়ে আলোচনা করার জন্য নিষেধাজ্ঞায় ছাড় দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এতে অন্যান্য দেশগুলোরও আগ্রহ রয়েছে।

পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনা

ন্যাশনাল ইরানিয়ান আমেরিকান কাউন্সিলের (এনআইএসি) নীতি পরিচালক রায়ান কস্টেলো বলছেন, পারমাণবিক চুক্তির ফলে অন্যান্য দেশগুলো ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো অপ্রসারণের আওতায় আনতে অনুমতি দেয়। বিশেষ করে এতে রয়েছে ইরানের আরাক ভারী জল গবেষণা চুল্লি।

আল জাজিরাকে কস্টেলো বলছেন, আমি বলতে চাই না যে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার কাছাকাছি, তবে আমি মনে করি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি পুনরুদ্ধার করতে ও সংকট কাটাতে ভালো বিশ্বাসের প্রচেষ্টা করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ভিয়েনায় পরোক্ষভাবে আলোচনা করছে, যার ফলে ইরান তার অর্থনীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে পিছিয়ে দেওয়ার শর্ত দিয়েছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে ওয়াশিংটনকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন এবং তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।